প্রোটিনের অন্যতম উৎস হল ডিম। ডিম শুধু শরীরের প্রোটিনের চাহিদাই পূরণ করে থাকে না, সৌন্দর্যচর্চাতেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ত্বক ও চুল পরিচর্যায় ডিম এবং ডিমের কুসুমের অভাবনীয় কিছু ব্যবহার রয়েছে। ডিমের কুসুমের এমন কিছু ব্যবহার নিয়ে আজকের এই ফিচার।
১। ব্ল্যাকহেডস দূর করতে –
ব্ল্যাকহেডসের সমস্যায় বিরক্ত? এই সমস্যার সহজ সমাধান দেবে ডিমের কুসুম। একটি ব্রাশে ডিমের কুসুম লাগিয়ে নিন। তারপর ব্রাশটি নাকে লাগিয়ে একটি কাগজ দিয়ে ঢেকে দিন। প্রথম লেয়ারটি শুকিয়ে গেলে আরেকটি লেয়ার লাগিয়ে নিন। এরপর শুকিয়ে গেলে ম্যাসাজ করুন। কুসুম গরম পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
২। শুষ্ক ত্বকের জন্য –
একটি ডিমের কুসুম, এক চা চামচ মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। মুখ পরিষ্কার করে প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে নিন। ১০ থেকে ১৫ মিনিট পর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি শুষ্ক ত্বক ময়োশ্চারাইজ করে ত্বক নরম কোমল করে থাকে।
৩। স্বাস্থ্যোজ্বল চুলের জন্য –
এক কাপ টকদই এবং একটি ডিমের কুসুম ভাল করে মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার এই প্যাকটি চুলে লাগিয়ে নিন। এভাবে কমপক্ষে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। ২০ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এটি চুল ঝলমলে সিল্কি করে তুলবে।
৪। ব্রণ প্রবণ ত্বকের যত্নে –
একটি ডিমের কুসুম, এক চা চামচ মধু এবং এক চা চামচ বাদাম তেল। একটি পাত্রে সবগুলো উপাদান ভাল করে মিশিয়ে নিন। এমনভাবে মেশান যেন ফেনা উঠে। এরপর প্যাকটি ত্বকে লাগান। ১৫ মিনিট পর কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
৫। ডিম, গাজরের ফেসপ্যাক
একটি ডিমের কুসুম, এক টেবিল চামচ ঘন ক্রিম এবং এক টেবিল চামচ ফ্রেশ গাজরের রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করে নিন। এবার এই প্যাকটি ত্বকে লাগিয়ে ৫ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে কুসুম গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকে রক্ত চলাচল বজায় রেখে ত্বক উজ্জ্বল এবং তারুণ্যদীপ্ত করে তোলে।