ঈদের মেকওভার সবসময়ই স্পেশাল। সকাল-বিকেল_ রাত যারা বাইরে বেড়াতে যাবেন, মেকআপ নিতেই হবে সেইদিন। আর তা স্পেশাল হতেই হয়। তাই বলে তা অতিরিক্ত হয়ে গেলে বাজে দেখায়। তাই আমরা ছিমছাম কিন্তু দীর্ঘস্থায়ী মেকওভারেই জোর দিচ্ছি এবার।
কারণ বারবার মেকআপ পাল্টানোর সময় কই? তাই প্রথমেই মুখ ভালোভাবে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। তৈলাক্ত ত্বকের অধিকারীরা তুলার সাহায্যে টোনার লাগান। না হলে ওয়াটার-বেসড অয়েল ফ্রি ময়েশ্চারাইজার লাগাতে পারেন। যাদের ত্বক শুষ্ক, তারা ময়েশ্চারাইজার লাগান। এরপর পাঁচ থেকে ১০ মিনিট অপেক্ষা করুন। পরে অবশ্যই প্রাইমার ব্যবহার করুন। প্রাইমার ব্যবহার করলে ত্বক ফাউন্ডেশনের ক্ষতিকর উপাদান থেকে রক্ষা পায়। এরপর কনসিলার লাগাবেন। বিশেষ করে চেহারায় যেসব জায়গায় কালো ছোপ বা দাগ আছে। চোখের নিচে কালি থাকলে সেখানেও ভালোভাবে লাগাতে হবে। যত্নের সঙ্গে কালো ছোপের ওপর আঙুল দিয়ে মিশিয়ে নিন। আপনার ত্বকের রঙের থেকে কনসিলারটি এক শেড গাঢ় হবে।
গরমের কারণে লিকুইড ফাউন্ডেশন এড়িয়ে যান। প্রেসড পাউডার ফাউন্ডেশন লাগাবেন। খেয়াল রাখবেন রাতের বেলায় ফাউন্ডেশন লাগাবেন স্পঞ্জ ভিজিয়ে, দিনে পাউডার ফাউন্ডেশন হিসেবেই লাগাবেন। ফাউন্ডেশনের রঙ হতে হবে ত্বকের সঙ্গে মিলিয়ে। লাগানোর পর সাদা যাতে না লাগে। মেকআপ যত ন্যাচারাল লুক নেবে ততই আপনার ত্বক ভালো থাকবে।
রাতের বেলায় ভারী মেকআপ নিতে ইচ্ছে হলে স্টিক ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করে প্যান কেক ব্যবহার করতে পারবেন। এর ওপর লুজ পাউডার লাগিয়ে নিন। যাদের মুখের গড়ন একটু ভারী তারা মুখে গালের পাশে, চিবুক বরাবর কন্টুরিং করুন, এতে মুখ হালকা গড়ন দেখাবে। আইশ্যাডো, ব্লাশ অন ব্যবহারে একটু সতর্ক থাকুন। ব্লেন্ডিং ভালোভাবে না করলে মেকআপ বসবে না। দিনের বেলায় সানস্ক্রিন লাগাবেন মেকআপের আগে। মেকআপ সরঞ্জাম যেন অবশ্যই ভালো ব্র্যান্ডের হয়। যত কম সম্ভব মেকআপ করবেন।
ত্বকের সতেজ ভাব অনেক দিন ধরে রাখা সম্ভব মেকআপ কম ব্যবহারে। খাবারের তালিকায় ফলমূল, শাকসবজি বেশি রাখুন। প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন। ধৈর্য ধরে নিজের ত্বককে বুঝতে হবে। সময় দিতে হবে।
মনে রাখবেন, সৌন্দর্য শুধু বাহ্যিক নয়। শারীরিক ও মানসিক প্রশান্তি আপনার রূপ-লাবণ্যের পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটায়। তাই পরিমিত আহার, নিয়মিত শারীরিক চর্চা, দুশ্চিন্তা মুক্ত জীবনযাপন করার চেষ্টা করুন।