১. ব্রণ বা একনি কী
চর্মরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বকের হরমোনের ভারসাম্যহীনতার কারণে মুখে ব্রণ কিংবা একনি দেখা দেয়। এ অবস্থায় উচ্চমাত্রার অ্যানড্রোজেনস ত্বকে প্রয়োজনের চেয়ে বেশি তেল উত্পন্ন করে। এতে ত্বকের গ্রন্থিতে প্রদাহের সৃষ্টি হয় এবং ব্রণ দেখা দেয়।
২. এর কারণ কী
সাধারণত দুই ধরনের ব্রণ দেখা যায়। ব্ল্যাকহেডস ও হোয়াইটহেডস। লোমকূপের গোড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার কারণে যে ব্রণ ওঠে তার মুখ কালচে দেখায়। আর ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি বন্ধ হলে যে ব্রণ ওঠে সেটির মুখ দেখতে সাদা হয়।
৩. শেভিং কি দায়ী
আসলে শেভিংয়ের কারণে ব্রণ হয় না। তবে ব্লেডে ময়লা থাকলে ত্বকে সংক্রমণ ঘটতে পারে। এতে ব্রণ হওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু নয়।
৪. কারণ কি মোবাইল ফোন
কানের পাশে বা গালে ব্রণ উঠতেই পারে। দীর্ঘ সময় মোবাইল কানে চেপে রাখলেও কিন্তু ব্রণ উঠতে পারে। কারণ মোবাইলে প্রচুর ময়লা ও জীবাণু থাকে।
৫. মানসিক চাপও কি দায়ী
ব্যক্তিগত বা কর্মজীবনের প্রভাবে ত্বকে ব্রণ ওঠে। কাজের চাপ, টেনশন বা বিষণ্নতা দেহে হরমোনের ক্ষরণমাত্রা এলোমেলো করে দেয়। অতিরিক্ত মানসিক চাপ অতিমাত্রায় হরমোন সৃষ্টি করে। এর প্রভাবে ব্রণ ওঠে।
৬. সাবান বা ময়েশ্চারও কি দায়ী
মুখের ময়লা দূর করে সাবান বা ফেসওয়াশ। আবার ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে ময়েশ্চার উপকারী। কিছু সাবান ও ফেসওয়াশ ত্বকের তেল নিয়ন্ত্রণ করে। এর ব্যবহারে ত্বক পুরোপুরি শুষ্ক হয়ে গেলে প্রদাহের সৃষ্টি হয়। এতে ব্রণ উঠতে পারে।
৭. দাগ কি স্থায়ী হয়
এটা নির্ভর করবে কী ধরনের ব্রণ উঠেছে তার ওপর। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই দাগ স্থায়ী হয় না। তবে ব্রণ চুলকালে বা এতে সংক্রমণ হলে স্থায়ীভাবে দাগ পড়তে পারে।
৮. পুঁজ বের করা কি ঠিক
ব্ল্যাকহেড বা হোয়াইটহেড চাপ দিয়ে ফাটিয়ে দেওয়া মোটেও ভালো কাজ নয়। এতে ব্যথা হবে এবং লালচে ভাব দেখা যাবে। হতে পারে মারাত্মক ইনফেকশনও। আবার দাগ স্থায়ী হওয়ার আশঙ্কাও আছে।