কর্মক্ষেত্রে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপনে সবারই নিজস্ব ঢং থাকে। গবেষক লিন টেলরের মতে, অফিসের অনেক সহকর্মীই আপনার বন্ধু হয়ে উঠতে পারেন। এর পরও তাঁদের সঙ্গে ভাষার ব্যবহারে আপনাকে সচেতন থাকতে হবে। কারণ আপনার প্রতিটি শব্দ আপনার প্রতিনিধিত্ব করে। তাই কর্মক্ষেত্রে কোন ধরনের ভাষা এড়িয়ে চলা ভালো, তাই নিয়ে আজকের আয়োজন।
১. ‘যাই হোক’
কোনো বিষয় এড়িয়ে যাওয়ার জন্য অনেকেই শব্দ দুটি ব্যবহার করেন। কিন্তু এতে ব্যক্তির দুর্বলতাই প্রকাশ পায়। এ ছাড়া কথাটির মাধ্যমে কোনো ঘটনার গুরুত্বও নষ্ট করে ফেলা যায়।
২. কুরুচিপূর্ণ শব্দ
কোনো অবস্থাতেই অফিসে বাজে কথা বলা যায় না। কুরুচিপূর্ণ শব্দ আপনার অপেশাদার ও নির্বুদ্ধিতার পরিচয় ফুটিয়ে তোলে। বাজে কথার মানুষ কখনোই কর্মক্ষেত্রে স্বীকৃতি পায় না।
৩. চিত্কার-চেঁচামেচি করা
ঘটনার ব্যাপকতার সঙ্গে কণ্ঠস্বর ওঠানামার একটা সম্পর্ক আছে, এ কথা ঠিক। কিন্তু কর্মক্ষেত্রে কখনোই চিত্কার-চেঁচামেচি করা উচিত নয়। এমনকি কারো বিশাল সাফল্যেও চিত্কার করে অভিনন্দন জানানোর দরকার নেই।
৪. ও মাই গড!
উত্তেজনা বা বিস্ময় প্রকাশের আরো অনেক উপায় আছে। কিন্তু ‘ও মাই গড’ বলে কোনো আবেগ প্রকাশ করলে তা নেতিবাচক হিসেবেই গণ্য হয়।
৫. আমি জানি, তাই না?
কোনো বিষয়ে আপনি জানেন, তার জানান দিতে দোষ নেই। কিন্তু ‘আমি জানি, তাই না?’—এমন বাক্য প্রায়ই বিরক্তিকর ও অস্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে।
৬. অসাধারণ!
প্রশংসার চূড়ান্ত প্রকাশ ঘটাতে পারে এ শব্দটি। কিন্তু প্রশংসা করার জন্য শব্দ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে সাবধান।
৭. শব্দের অপব্যবহার
যদি বিশেষ কোনো শব্দের অর্থ ও ব্যবহারিক প্রয়োগ না জানেন, তবে ভুলেও তা উচ্চারণ করবেন না। এতে হিতে বিপরীত হতে পারে। তবে বুঝেশুনে নতুন শব্দের প্রয়োগ দারুণ আনন্দ দিতে পারে। এ জন্য অভিধানের সহায়তা নিতে পারেন।
৮. নিজের বানানো শব্দ
কোনো অবস্থাতেই এটা করতে পারেন না আপনি। অর্থহীন এসব শব্দ পেশাক্ষেত্রে কেনই বা বলতে যাবেন?
–বিজনেস ইনসাইডার অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার