মানুষের জীবনে নানা অস্বস্তিকর সমস্যা থাকে। তেমনই এক ঘটনার কথা তুলে ধরেছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন। যারা এ ধরনের সমস্যায় পড়েন তাদের কাছের মানুষ হিসাবে আপনি কি করতে পারেন তা নিয়ে পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।
তিনি লিখেছেন, আমার বোনের ছেলের বয়স ২৫। বেশ সুদর্শন। আর আমার মেয়েটির বয়স ১৮ বছর। দুজনই ছোটকাল থেকেই খেলাধুলা করে বড় হয়েছে। সম্প্রতি আমি খেয়াল করি, আমার মেয়েটির একটি ডায়েরি আছে। এটা সে খুব গোপনে সংরক্ষণ করে। গোপনে দেখতে গিয়েই আমি রীতিমতো বাকরুদ্ধ। তারা একে অপরের সঙ্গে প্রেমে জড়িত। মেয়েটি যৌন উত্তেজক কাজ করতে তাকে উদ্বুদ্ধ করে। তারা সৈকতে সাঁতার কাটতে যায়। তারা গোপনে সেক্স করে যা কিনা পুরোপুরি অনিরাপদ। মেয়েটি ডায়েরিতে লিখে রেখেছে, সে তার কাজিনকে দারুণ পছন্দ করে। তারা সময়গুলো খুব উপভোগ করে। শুধু তাই নয়, মেয়েটি নিয়মিত পিল খায়। যদিও কাজিনদের মধ্যে সেক্স যার যার ধর্মীয় রীতি-নীতিতে একেকভাবে গ্রহণ করা হবে। কিন্তু আমার কাছে বিষয়টি চরম বিরক্তিকর। তার মা হিসাবে কি আমার উচিত তার মুখোমুখি হওয়া? তা ছাড়া আমার বোনকেও তার ছেলের বিষয়টি জানানো উচিত? নাকি জেনেও না জানার ভান করবো?
যিনি এ ধরনের সমস্যায় ডুবে রয়েছেন তার জন্যে কি করা উচিত তা নিয়ে সংক্ষিপ্ত পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
১. এ ধরনের পরিস্থিতিতে তাকে কিছু বলার সময় আপনার মনে রাখতে হবে যে, বিষয়টি স্পর্শকাতর। কাজেই আপনার বক্তব্য বা কথা অবশ্যই বাস্তবমুখী হবে। আপনার মনে সহমর্মিতা থাকতে হবে। কারো ব্যক্তিগত জীবনের অস্বস্তিকর একটা সমস্যা নিয়ে কথা বলছেন আপনি। কাজেই ভাষা ও কণ্ঠে সমবেদনা থাকা উচিত।
২. ভুক্তভোগীর হয়ে অনলাইনে বা মুখোমুখি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ পেতে চাইলে সংক্ষিপ্তভাবে পরিস্থিতির বয়ান করুন। যৌন সংক্রান্ত বিষয়টি স্পষ্টভাবে জানাতে হবে। সূত্র : দ্য গার্ডিয়ান