অযত্নের কারণে চুল দুর্বল ও ভঙ্গুর হয়ে যায়। তাই সুন্দর লম্বা চুল চাইলে প্রয়োজন বাড়তি যত্ন। রূপচর্চা বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে চুল স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ও লম্বা করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় কিছু বিষয় উল্লেখ করা হয়।
চুলে সঠিক যত্ন এবং পুষ্টির অভাবে চুল দুর্বল হয়ে পড়ে। তাই বাহ্যিক যত্নের পাশাপাশি পুষ্টিকর খাবারও প্রয়োজন।
লম্বা চুল পছন্দ হলেও বেশিরভাগ সময়ই চুল লম্বা হচ্ছে না এমন সমস্যায় ভুগতে হয়। এর কারণ হতে পারে অতিরিক্ত কেমিকল সমৃদ্ধ প্রসাধনীর ব্যবহার, স্ট্রেইটনার ও কার্লারের ব্যবহার, ক্যামিকল ট্রিটমেন্ট ইত্যাদি। এসব কারণে চুলের আগা ফাটা সমস্যা হওয়া, চুল ভঙ্গুর হয়ে যাওয়া ও চুল পড়ার পরিমাণ বাড়তে পারে। তাই লম্বা চুল long hair পেতে হলে মেনে চলতে হবে বিশেষ কয়েকটি পন্থা।
নিয়ম করে চুলের আগা ছাঁটুন:
আগা ফাটার কারণে চুলের স্বাস্থ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই তিন মাসের বিরতিতে চুলের আগা ছেঁটে নিতে হবে।
চুলের প্রতি কোমল হন:
চুল শরীরের খুবই কোমল একটি অংশ। তাই খুব সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং ভেঙে পড়ে। তাই চুল আঁচড়ানোর সময় এবং বিশেষভাবে জট ছাড়ানোর সময় খুবই যত্ন নিয়ে চিরুনি চালানো উচিত। অতিরিক্ত জট বেঁধে গেলে প্রথমে আঙুল দিয়ে জট হালকা করে নিয়ে পরে মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে আঁচড়াতে হবে। আর অবশ্যই নিচের অংশ থেকে আঁচড়ে উপরের দিকে উঠতে হবে।
স্টাইলিং এড়িয়ে চলুন:
প্রতিদিন চুল সোজা ও কোঁকড়া করার জন্য যদি স্ট্রেইটনার ও কার্লার ব্যবহার করা হয় তাহলে চুল নষ্ট হয়ে যাবে অকালেই। তাই প্রতিদিনের জন্য বেণি, খোঁপা, ঝুটি ইত্যাদি স্টাইলই চুলের জন্য উপকারী। বিশেষ অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্টাইলিং টুল বেছে নেওয়া যেতে পারে ‘লুক’ পরিবর্তনের জন্য।
সঠিক অনুষঙ্গ বাছাই:
বড় দাঁতের চিরুনি চুল ভাগ করতে এবং তা সঠিকভাবে স্টাইল করতে সাহায্য করে। অন্যদিকে ফাঁকা দাঁতের চিরুনি চুলের জট ছাড়ানোর জন্য সবচেয়ে উপযোগী। প্রাকৃতিক উপাদানে তৈরি হেয়ার ব্রাশ মাথার ত্বকের তেল চুলে ছড়িয়ে দিতে সাহায্য করে। এমনই একেকটি অনুষঙ্গ ভিন্নভাবে চুলের জন্য উপকারী। এ বিষয়গুলো জেনে তবেই অনুষঙ্গ বাছাই করতে হবে।
এছাড়াও অতিরিক্ত শক্ত করে চুল বাঁধা উচিত নয়, এতে চুলের গোড়া ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ঘুমের সময়ও যত্ন:
ঘুমানোর সময়ও চুলের প্রতি যত্নশীল হওয়া উচিত। শুনতে অবাক লাগলেও এটি বেশ জরুরি। নরম এবং সাটিনজাতীয় কাপড়ের তৈরি বালিশের কভারে মাথা রেখে ঘুমানো উচিত। অথবা মাথায় স্কার্ফ পেঁচিয়ে ঘুমানো যেতে পারে। এতে বালিশের সঙ্গে ঘষার ফলে চুলের ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি কমে আসবে।