দাম্পত্য সম্পর্কে বিচ্ছেদ যেমন বড় কারণে ঘটে, তেমনি ছোটখাটো কারণেও ঘটতে পারে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এমনই কিছু কারণ যা কিনা ফালতু। আর এসব কারণেও ভেঙে যেতে পারে।
১. আঙুল উঁচিয়ে কথা বলা : ছুটি কাটাতে দুজন ঘুরতে গেছেন বা কোনো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছেন। সেখানে কিছু বিগড়ে যেতেই পারে। সে জন্যে পরে একে অপরকে দোষারোপ করতে থাকেন। এ সময় একে অপরের প্রতি আঙুল উঁচিয়ে দোষারোপ করার কাজটি এড়িয়ে চলুন। এটা দুজনকেই উত্তেজিত করে দেয়। এ সময় নিয়্ন্ত্রণ হারালে দুর্ঘটনা ঘটে যেতেই পারে।
২. বাড়ির কাজের ক্ষেত্রে : খাবারের পর বাসনপত্র মাজা বা ঘল পরিষ্কার করার বিষয়ে দুজন কাজ ভাগ করে নিতে পারেন। কিন্তু এসব কাজে অকে অপরের বিরুদ্ধে কাজ না করার অভিযোগ করে থাকেন। বাড়ির কাজের ভাগাভাগি নিয়ে অগুরুত্বপূর্ণ বসচায় দুজনের সম্পর্ক খারাপের দিকে যেতে থাকে।
৩. শপিং নিয়ে ঝামেলা : দুজনের শপিং বিষয়ক অভ্যাস নিয়ে ঝামেলা হতে পারে। একজন হয়তো বিলাসী জিনিসপত্র কিনতে আগ্রহী। অপরজন বেশি খরচ করতে রাজি নন। তা ছাড়া দুজনের পয়সা একযোগ করে শপিংয়ের ক্ষেত্রেও ঝামেলা হতে পারে। এ কারণে দ্বন্দ্ব এবং সম্পর্কের বিচ্ছেদ খুবই দুঃখজনক ঘটনা।
৪. সমস্যা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা : দাম্পত্য জীবনে কলহ থাকবেই। এর সমাধান করতে হয়। কিন্তু সমাধানের পথ না খুঁজে তা এড়িয়ে গেলে আপাতত ঝামেলা এড়িয়ে যেতে পারলেও তা ভবিষ্যতের নেতিবাচক বিষয় হিসাবে থেকে যাবে। দ্বন্দ্ব হলে তা অবশ্যই মেটাতে হবে।
৫. যৌন জীবনে ভিন্ন আকাঙ্ক্ষা : বিশেষজ্ঞদের মতে, যৌন বিষয়ে দুজনের ভিন্ন ধারণা ও আকাঙ্ক্ষা থাকতে পারে। পার্থক্য ঘোঁচাতে আন্তরিক আলাপচারিতা প্রয়োজন। দুজনের মধ্যেই আত্মবিশ্বাস থাকতে হবে। মনে কথা মনেই পুষে রাখলে যৌনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়বে।
৬. নিজেকে বিশেষ কেউ মনে হয় না : সাধারণত স্ত্রীরা এ সমস্যায় ভোগেন। অনেকের অভিযোগ, স্বামীর ভাবভঙ্গী দেখলে মনেই হয় না যে তারা বিশেষ কেউ। এ নিয়ে মনপীড়ায় ভোগেন স্ত্রীরা। এ ক্ষেত্রেও আলোচনা ফলপ্রসু হতে পারে। আবার এ ভুল কিনা তাও দেখা উচিত স্ত্রীদের।
৭. মারমুখী আচরণ : দুই একটি আপত্তিকর ঘটনা ঘটে যেতে পারে। এ সময় এক পক্ষকে সহনশীল হতে হবে। কারোরই উচিত না অপরের গায়ে হাত তোলা। কিন্তু কেউ ভুল করে করে ফেললে অপরজনের উচিত নয় পাল্টা আঘাত করা। বরং সময় দিন। দেখবেন যিনি এ কাজ করেছেন তিনি অনুতাপে ভুগতে শুরু করেছেন। আঘাত-পাল্টআঘাতে সম্পর্কে ফাটল ধরে।
৮. অন্য বিষয়ে মনোযোগ বেশি : হতে পারে স্বামী ক্রিকেট খেলা শুরু হলে জীবনের সবকিছু ভুলে যান। তখন টিভিটাই তার একমাত্র আপন হয়ে ওঠে। স্ত্রীর প্রতি হয়তো তার খেয়ালই নেই। কিন্তু এ বিষয়কে সিরিয়াসলি নিয়ে অভিযোগ উত্থাপন করাটা বোকামি। অনেক স্ত্রী ভাবেন তার প্রতি স্বামীর কোনো আগ্রহ নেই। এ ভুল ধারণা থেকে পরিস্থিতি খারাপের দিকে যেতে পারে।
৯. ‘তুমি কখনোই আমার কথা শোন না’ : প্রায়ই এক অপরকে এ অভিযোগ করেন দম্পতিরা। আসলেই কি তাই? একটি বিষয় নিয়ে ঝগড়া হলে এমনভাবে কথাটা বলা হয়, যেন অপরজন কথা শুনলেই এমনটা আর হয় না। অথবা যিনি অভিযোগ করছেন, তিনি সব সময় সঠিক উপায়েই কাজ করতে বলেন, কন্তিু অপরজন কানে কথা তোলেন না। এটা নিতান্তই অর্থহীন কথা। অথচ এর প্রভাব বিস্তর।
১০. মিথ্যাচার : আপনারা একে অপরকে ক্রমাগত মিথ্যা বলে চলেছেন। হয়তো ভাবছেন, মিথ্যাটা এতটাই ক্ষুদ্র যে তা কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলবে না। এও ভাবতে পারেন যে, অপরজন কিছুই বুঝতে পারবেন না। এগুলো ভুল ধারণা। সত্য চাপা থাকবে না। মিথ্যা প্রকাশ পেলে দুজনেরই মনে ক্ষোভ জমা হবে। পরবর্তিতে তা বিচ্ছেদের কারণ হতে পারে। সূত্র : এমএসএন