তাঁকে নিয়ে তাঁর মা কবি জাহেদা খানম লিখেছেন কবিতা ‘আমার মেয়ে আছে সারা আকাশ জুড়ে’। মেয়ে তো সত্যিই উজ্জ্বল নক্ষত্র হয়ে আলো ছড়িয়ে যাচ্ছেন। তিনি নাসরীন হক। নারীর প্রতি অন্যায়-অবিচার থেকে শুরু করে সমাজের পিছিয়ে পড়া অধিকারবঞ্চিত মানুষের প্রাপ্য অধিকার ও সুবিচার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি কাজ করে গেছেন।
২৪ এপ্রিল ছিল নাসরীন হকের দশম মৃত্যুবার্ষিকী। অ্যাকশন এইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় নিজের বাসায় নিজের ব্যবহৃত গাড়ির নিচে পিষ্ট হন। তিনি ছিলেন নারীপক্ষের সদস্য।
নারীপক্ষ ২৪ এপ্রিল সন্ধ্যায় ঢাকার জাতীয় জাদুঘরের প্রধান মিলনায়তনে তাঁর স্মরণে অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানের নাম ছিল ‘রয়েছো আকাশ জুড়ে’। গান, নৃত্য, কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্যাবৃত্তির ফাঁকে ফাঁকে জীবনী পাঠের মাধ্যমে ৪৮ বছরে পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়া নাসরীন হককে স্মরণ করা হলো।
নাসরীন হকের মায়ের লেখা ‘আমার মেয়ে আছে সারা আকাশ জুড়ে’ কবিতা আবৃত্তির মধ্য দিয়ে মূল অনুষ্ঠান শুরু হয়। নাসরীন হকের প্রিয় কিছু গান ‘মধুর আমার মায়ের হাসি’, ‘সব লোকে কয় লালন কি জাত সংসারে’, ‘চির বন্ধু চির নির্ভয়’ পরিবেশিত হয়। অ্যাসিড আক্রান্ত নারীদের জন্য প্রতিষ্ঠা করা তাঁর গানের স্কুল ‘পঞ্চম সুর’ ‘ভালো আছি ভালো থেকো’ গানটি পরিবেশনের মাধ্যমে নাসরীন হককে সম্মান প্রদর্শন করে। অনুষ্ঠানে নারীপক্ষের সভানেত্রী রেহানা সামদানী ছাড়াও তাঁর কথা মনে করলেন অনেকেই।