এই গ্রীষ্মের প্রখর রোদের তেজ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ডাব, শরবত, আখের রস, লেবুপানি ও বিভিন্ন জুসের কদরও বাড়ে। রাস্তার মোড়ে, হাটবাজারে দেখা যায় নানা রকমের পানীয় বিক্রির হিড়িক।
কিন্তু খোলাবাজারের এসব পানীয় বেশির ভাগ ক্ষেত্রে নিরাপদ নয়। কারণ, প্রায়ই অনিরাপদ পানি ও বরফ দিয়ে অপরিচ্ছন্ন, অস্বাস্থ্যকর উপায়ে এসব প্রস্তুত ও পরিবেশন করা হয়। তা ছাড়া, এসব অনিরাপদ পানি বা বরফে থাকতে পারে নানা রোগজীবাণু। ফলে এগুলো পান করলে ডায়রিয়া, কলেরা, টাইফয়েড, হেপাটাইটিসসহ পানিবাহিত নানা রোগ হতে পারে। আর তাই বাজারের এসব খোলা পানীয়র পরিবর্তে নিরাপদ পানীয় পান করতে হবে। এ ক্ষেত্রে সবচেয়ে সহজলভ্য ও কার্যকরী হচ্ছে সাধারণ কিন্তু নিরাপদ পানি।
প্রচণ্ড দাবদাহে অতিরিক্ত ঘামের ফলে শরীর থেকে প্রচুর পানি ও লবণ বেরিয়ে যায়। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করলে এই ঘাটতি মেটানো সম্ভব। এ ছাড়া এ সময় পান করতে পারেন ডাবের পানি। এতে প্রচুর খনিজ উপাদান থাকে, যা আমাদের শরীরকে চাঙা করতে সহায়ক। তরমুজ, ফুটি, বেল, কাঁচা আমের জুস অথবা লেবুপানিও পান করতে পারেন।
ডা. এ হাসনাত শাহীন
ডায়াবেটিস ও হরমোন রোগ বিশেষজ্ঞ, বিআইএইচএস জেনারেল হাসপাতাল
প্রশ্নোত্তর
প্রশ্ন: ডায়রিয়া হলে কখন শিরায় স্যালাইন দেওয়া উচিত?
উত্তর: ডায়রিয়ার কারণে পানিশূন্যতা না হলে বা মৃদু পানিশূন্যতা হলে মুখে খাওয়ার স্যালাইন নিলেই চলবে। কিন্তু তীব্র পানিশূন্যতায় যখন চোখ দেবে যায়, জিব-ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যায় অথবা শিরা দুর্বল হয়ে পড়ে—তখন শিরায় স্যালাইন দেওয়া উচিত। ডায়রিয়ার সঙ্গে বারবার বমি হলে বা স্যালাইন খেতে না পারলেও শিরায় স্যালাইন দিতে হবে।
অধ্যাপক এ বি এম আবদুল্লাহ
ডিন, মেডিসিন অনুষদ, বিএসএমএমইউ