একেক সময় একেক পোশাক পরেন। তবে সব সময়ই গুরুত্ব পায় আরাম। বাসায় ঢিলেঢালা পোশাক পরেন। বাইরে পশ্চিমা ঢঙের পোশাক পরা হয় বেশি।
মাহি বলেন, ‘কেনাকাটা কিংবা যেকোনো প্রয়োজনে বাসা থেকে বের হলে জিনস, টি-শার্ট বা শার্ট পরে নিই। আরামদায়ক মনে হয়।’ দেশের বাইরে ঘুরতে বা শুটিংয়ে গেলে ভ্রমণের সময় হাফপ্যান্ট, টি-শার্টের মতো পশ্চিমা পোশাকই পরে নেন বড় পর্দার এই তারকা।
বিদেশ ভ্রমণে মাহি পশ্চিমা ঢঙের পোশাক পরেন। ছবি: সুমন ইউসুফছবির মহরত কিংবা প্রিমিয়ার শোসহ বিশেষ অনুষ্ঠানে গাউনই পরেন বেশি। গাউনের রং অবশ্যই লাল, নীল বা কালো হতে হবে। মাহি বলেন, ‘দিন বা রাতের অনুষ্ঠানের পরিবেশ বুঝে গাউনের রং ঠিক করে নিই।’ দেশীয় কোনো অনুষ্ঠানে শাড়ি বেছে নেন তিনি। শাড়ির সঙ্গে মিলিয়ে কপালে লাল টিপ পরেন। মাহি বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই লাল টিপ আমার পছন্দ।’
গয়নার প্রতি কোনোই দুর্বলতা নেই তাঁর। হাতে একটি প্লাটিনামের চুড়ি পরেন। আর হাতের আঙুলে সব সময়ই থাকে রুবি পাথরের আংটি। মাহি বলেন, ‘চলচ্চিত্রে অভিনয়ের শুরু থেকেই রুবি পাথরের আংটি পরি। এই আংটি আমার জন্য আশীর্বাদ মনে হয়।’
দেশি অনুষ্ঠানে পরেন দেশি শাড়িপায়ের জন্য স্লিপারে বেশি আরাম পান। তবে জিনসের সঙ্গে নাইকি ও অ্যাডিডাস ব্র্যান্ডের কেডস পছন্দ।
শীতকালে যেমন ঘুরতে মজা, আবার খাবারদাবারের উপাদানগুলো ভালো থাকে। আর এই পছন্দের ঋতুতে সালোয়ার-কামিজের ওপর শাল বা হুডি চাপিয়ে নেন তিনি। শীতকাল মাহির প্রিয় ঋতু।
সুগন্ধির প্রতি দুর্বলতা আছে এই চলচ্চিত্র অভিনেত্রীর। বিভিন্ন নামীদামি ব্র্যান্ডের সুগন্ধির যেমন পছন্দ, তেমনি আতরও তাঁর বিশেষ পছন্দ। মাহি বলেন, ‘আতরের ঘ্রাণটা অন্য রকম মনে হয়। সেই ছোটবেলা থেকেই আমার পছন্দ।’ গিভেন্সি ও ভিক্টোরিয়া সিক্রেটসের সুগন্ধি তাঁর ভালো লাগে।
পার্টিতে দেখা যায় গাউনেটকজাতীয় খাবার তাঁর পছন্দ। গরুর কালো ভুনা পেলে সব ভুলে যান তিনি। আর সেটা নিজের হাতেই রান্না করতে পছন্দ করেন। তবে মায়ের হাতে শুঁটকি রান্না তাঁর খুব প্রিয়। পছন্দের তালিকায় তেহারীর কথা না বললেই নয়। তেহারী খেতে রাতবিরাতে বন্ধুরা মিলে প্রায়ই পুরান ঢাকার শাঁখারী বাজারে ঢুঁ মারেন।
শুটিং থাকলে ভোর চারটা, না থাকলে বেলা করেই ঘুম থেকে ওঠেন মাহি। ঘুম থেকে উঠে নিয়ম করে প্রতিদিনই মধু-পানি পান করেন।
সিনেমার নায়িকা, সিনেমা না দেখলে কি হয়! মাহি জানান, বলিউডের নতুন নতুন ছবিগুলো দেখা হয় তাঁর। আর শাবনূর, সালমান শাহ অভিনীত ছবিগুলো নিয়মিতই দেখেন তিনি।
শুটিংয়ের জন্য প্রতিদিনই মুখে ভারী মেকাপ নিতে হয় তারকাদের। আর এ কারণে দরকার হয় ত্বকের বাড়তি যত্নও। মাহি বলেন, ‘ত্বকের বাড়তি যত্ন নিতে আমি নিয়মিত মুখে টমেটো লাগাই। এতটুকুই।’ শুটিংয়ে চুলের ওপরও কম ধকল যায় না। তাই যত্নে নিতে নিয়মিতই চুলে তিলের তেল ব্যবহার করেন তিনি। এতে চুল শক্ত থাকে।
আলো-ছায়া দিয়ে নিজের ঘর সাজিয়েছেন মাহি। কাঠ, মাটি বা চীনামাটির তৈরি জিনিসপত্র দিয়ে আলোর বিভিন্ন শেড বানিয়ে সাজিয়ে রেখেছেন। নিজ হাতেই এই আলো-ছায়ার আবহ তৈরি করেন তিনি। আবার বিভিন্ন ধরনের ঝাড়বাতিও তাঁর পছন্দ।
মাহির স্কুলজীবনের বন্ধুরাই যেন প্রাণ। অবসর পেলেই বন্ধুদের নিয়ে মেতে ওঠেন এই তারকা। ঢাকার বাইরে দূরের রাস্তায় নিজেই গাড়ি চালিয়ে বেরিয়ে পড়েন। কখনো সিলেট, কখনো বান্দরবান—পাহাড়ঘেরা অরণ্যে ঘুরতে চলে যান। কখনো কখনো গাড়ি রেখে বান্দরবানের পাহাড়ি রাস্তায় যাত্রীবাহী বাসের ছাদে দলবল মিলে উঠে পড়েন। মাহি জানান, বন্ধুরা মিলে দূরে কোথাও ঘুরতে গেলে নিজেকে আর অভিনেত্রী ভাবেন না। যা মন চাই, তা-ই করেন। ভাবেন, জীবনটা ছোট কিন্তু অনেক সুন্দর!