গরমের রোদ, তাপ, ঘামে সবচেয়ে বেশি কষ্ট পায় ত্বক। ত্বককে গরমের দৌরাত্ম্য থেকে বাঁচানোর উপায় জেনে নিন।
গ্রীষ্মকালে ত্বক ভুগতে থাকে নানান রকমের সমস্যায়। শুধু ত্বকই নয়, চুল, নখ এসবও বাদ যায় না। এইসব সমস্যাগুলো থেকে কীভাবে রক্ষা করতে পারবেন ত্বক তাই জানিয়ে রূপচর্চা বিষয়ক একটি ওয়েবসাইট—
গরমে একটা মূল সমস্যা পরিছন্ন থাকা। পরিচ্ছন্ন থাকতে দিনে অন্তত দুই থেকে তিনবার গোসল করা উচিত।
শরীরের যেসব জায়গা ঘাম জমে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে থাকার সম্ভবনা থাকে, যেমন বাহুর নিচে, গলার নিচে, স্তনের নিচে, বদ্ধ জুতা পরলে আঙ্গুলের ফাঁকে- সেসব জায়গায় আলাদা করে পাউডার মেখে নিতে পারেন। এতে সেসব জায়গায় জমে থাকা ঘাম শোষণ করে জায়গাটি শুষ্ক থাকে।
পা খোলা স্যান্ডেল পরার চেষ্টা করা উচিত। ব্যাক্টেরিয়া বদ্ধ আর্দ্র জায়গায় মনের সুখে বংশ বাড়াতে থাকে।
রোদে বের হলে অবশ্যই উন্মুক্ত ত্বকে সানস্ক্রিন ক্রিম বা লোশন মাখতে হবে। সানস্ক্রিন নিয়ে এখনও নানান ধরনের ভ্রান্তি আছে। যেমন অনেকেই ভাবেন সান প্রোটেকশন ফরমুলা ‘এসপিএফ’য়ের মানের উপর রোদ ঠেকানোর হার নির্ভর করে।
প্রকৃতপক্ষে এসপিএফ-টেন এবং এসপিএফ-সিক্সটি’র মধ্যে মাত্র দুতিন শতাংশ পার্থক্য থাকে। এসপিএফ’য়ের মান যতোই হোক এর উপরে এটি কতক্ষণ কাজ করবে এটা নির্ভর করে না। তাই দিনে অন্তত তিন থেকে চারবার সানস্ক্রিন মাখা উচিত।
সানস্ক্রিন মাখলেই যে ত্বকে রোদেপোড়া ভাব আসবে না এমন নয়। সানস্ক্রিনের কাজ ত্বককে রোদের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করা যেন ত্বক অকালে বুড়িয়ে না যায় অথবা কোনো রোগে আক্রান্ত না হয়। রোদের হাত থেকে বাঁচতে ছাতা, রোদ চশমা এগুলোকে ভুললে চলবে না।
ঘামের সঙ্গে শরীরের পানি বের হয়ে যায় এতে শরীর তো বটেই ত্বকও পানি শূন্যতায় ভোগে। শরীরকে পানি শূন্যতা থেকে বাঁচাতে পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে, দিনে অন্তত তিন লিটার। ত্বকে মাখতে হবে হালকা ময়েশ্চারাইজার।
ঘরোয়া পদ্ধতিতে রোদ থেকে রক্ষা—
* শসার রস বা গোলাপ জল তুলায় ভিজিয়ে ফ্রিজে রেখে দিতে পারেন। এটা বার বার ত্বকে চেপে চেপে লাগিয়ে ত্বককে ঠাণ্ডা রাখা যায়।
* ঘর থেকে বের হলে অবশ্যই রোদ চশমা পরতে হবে।
* গাড়িতে রোদ আটকানোর জন্য পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে। অন্তত সরসরি যেন রোদ না লাগে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।