বাংলা নববর্ষ ১৪২৩ বরণ করার জন্য দেশের সব জায়গায় শুরু হয়েছে নানা আয়োজন। প্রতিষ্ঠিত দেশীয় পোশাক-ঘরগুলোর পাশাপাশি অন্যান্য দোকানও সেজেছে বৈশাখী সাজে।
বসুন্ধরা সিটির দেশীদশে দেখা যায় বৈশাখের জোরসোর আয়োজন। ৩০ মার্চ দেশীদশের দশটি ফ্যাশন ঘরের এবারের বৈশাখী আয়োজন নিয়ে আয়োজিত হয় একটি ফ্যাশন শো। যেখানে ফ্যাশনঘরগুলোর এবারের আয়োজন তুলে ধরে।
ফ্যাশন হাউজ বিবিয়ানায় তাসের নকশাকে কেন্দ্র করে তৈরি করা হয়েছে সালোয়ার কামিজ, কুর্তি, শাড়ি ও পাঞ্জাবি। এইখানে পাঞ্জাবি পাওয়া যাবে ৮শ’ থেকে ১ হাজার টাকায়। কুর্তি সাড়ে ৯শ’ থেকে ১ হাজার ৫শ’ টাকা। সালোয়ার কামিজ ১ হাজার ৮শ’ থেকে ২ হাজার ৫শ’ টাকায় এবং শাড়ি ১ হাজার ৮শ’ ৫০ থেকে ১০ হাজার টাকা। এছাড়াও তাঁতের ও সুতি স্কার্ট পাওয়া যাবে সাড়ে ৮শ’ টাকায়।
নগরদোলায় ব্লকের কামিজ পাওয়া যাবে ১ হাজার ৮শ’ থেকে ২ হাজার টাকায়। টাইডাই ও সুতার কাজ করা শাড়ির দাম ২ হাজার ২শ’ টাকা। হাতের কাজের নকশি কাঁথার কাজ করা শাড়ির দাম ১৮ হাজার টাকা। নগরদোলায় ব্লক ও সুতার কাজ করা পাঞ্জাবি কিনতে গুনতে হবে ১ হাজার ৫শ’ থেকে ১ হাজার ৮শ’ টাকা।
পহেলা বৈশাখে অঞ্জন’সয়ের আয়োজন।
পহেলা বৈশাখে অঞ্জন’সয়ের আয়োজন।
ফ্যাশন ঘর কে ক্রাফটের বৈশাখী আয়োজনে বিশেষ প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে শাড়িতে। তাদের আয়োজনে থাকছে নিজস্ব তাঁতে বোনা বিভিন্ন মোটিফের শাড়ি। লাল-সাদার পাশাপাশি অন্যান্য রংও প্রাধান্য পেয়েছে বৈশাখী আয়োজনে। ধরন, কাজ এবং কাপড়ের ভিত্তিতে এই শাড়িগুলোর দাম হতে পারে ২ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা বা আরও বেশি।
কে ক্রাফটের ব্লক বাটিকের সালোয়ার কামিজের দাম পড়বে ১ হাজার ৮শ’ টাকা। পাঞ্জাবির দাম শুরু ১ হাজার ৮শ’ টাকা থেকে।
অঞ্জন’সয়ের আয়োজনেও থাকছে বিভিন্ন ধরনের শাড়ি, পাঞ্জাবি, টপস, ফতুয়া এবং সালোয়ার-কামিজ। ব্লকের উপর পাড় বসানো শাড়ির দাম পড়বে ৪ হাজার টাকা। পাঞ্জাবির দাম ১ হাজার ৫শ’ টাকা। সালোয়ার কামিজের দাম শুরু ২ হাজার টাকা থেকে। এছাড়াও অ্যাপ্লিকের শাড়ি পাওয়া যাবে যার দাম ৩ হাজার ২শ’ টাকা।
দেশালের কামিজ ও ফতুয়ার নকশায় প্যাঁচা, মাছ, পাখি, ফুল ইত্যাদি মোটিফকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে। এইসব ফতুয়ার দাম ৬শ’ টাকা থেকে শুরু। পাঞ্জাবির দাম সাড়ে ৮শ’ টাকা। এছাড়াও আছে একরঙা ও জলছাপের শাড়ি। দাম ১ হাজার টাকা থেকে ১ হাজার ৪শ’ টাকার মতো।
পহেলা বৈশাখে বাংলার মেলা’র আয়োজন।
পহেলা বৈশাখে বাংলার মেলা’র আয়োজন।
পহেলা বৈশাখে বিবিয়ানা’র আয়োজন।
পহেলা বৈশাখে বিবিয়ানা’র আয়োজন।
প্রতিটি পোশাক-ঘরই ছোট-বড় ও নারী-পুরুষ সবার কথা বিবেচনা করে নানা রকমের আয়োজন করেছে।
স্মার্টেক্স, ইয়েলো, ক্যাট’স আই, এক্সটাসি, লা রিভ, আর্টিস্টি, ওয়েস্টেক্স, ইনফিনিটি ইত্যাদি দোকানগুলোতেও রয়েছে বৈশাখী আয়োজন। এসব দোকানে পাবেন ছেলেদের শার্ট, পাঞ্জাবি। মেয়েদের জন্য রয়েছে সিঙ্গেল কামিজ, থ্রি পিস, পশ্চিমা ধাঁচের টপস, স্কার্ট, গাউন ইত্যাদি।
আজিজ সুপার মার্কেটের ফ্যাশন ঘরগুলোও বৈশাখী আয়োজনের বেশ সরব।
এখানকার দোকানগুলোতে দামের খুব একটা পার্থক্য চোখে পড়েনি। প্রায় প্রতিটি দোকানেই ফতুয়া পাওয়া যাচ্ছে সাড়ে ৭শ’ থেকে ১ হাজার টাকার মধ্যে। সালোয়ার কামিজের দাম ১ হাজার ৪শ’ ৫০ থেকে ২ হাজার ১শ’ টাকা। পাঞ্জাবি সাড়ে ৮শ’ থেকে ১ হাজার ৫শ’ টাকা। মান ও কাজ ভেদে শাড়ির দাম ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকার মধ্যে হতে পারে।
পহেলা বৈশাখে কে ক্র্যাফট’য়ের আয়োজন।
পহেলা বৈশাখে কে ক্র্যাফট’য়ের আয়োজন।
একটু সস্তায় পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করতে চাইলে চলে যেতে পারেন গাউছিয়া বা নিউমার্কেটে। এখানে ব্লকের শাড়ি পাওয়া যাবে ৫শ’ থেকে ২ হাজার টাকার মধ্যে। অ্যাপ্লিকের শাড়ির দাম ১ হাজার থেকে ৩ হাজার ২শ’ টাকা। তাছাড়া জামদানি বা কাতানের শাড়ি কিনতে চাইলে গুনতে হবে আড়াই হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা।
সালোয়ার কামিজ পাওয়া যাবে ৫শ’ থেকে ৩ হাজার টাকায়। ছোটদের পোশাকের দাম ৩শ’ থেকে ১ হাজার ৫শ’ টাকার মধ্যে। নিউমার্কেট এবং গাউছিয়া থেকে সুলভ মূল্যে কিনতে পারবেন ছেলেদের পাঞ্জাবি ও ফতুয়া।
তবে এখানে কেনাকাটা করার সময় জিনিসের মান বিবেচনা করে দরদাম করে কিনতে হবে। দোকানিরা একটু বেশিই দাম চেয়ে থাকেন, বিশেষত উৎসব উপলক্ষ্যে দাম কিছুটা বেশিই চেয়ে থাকেন তারা।