কিডনি অকার্যকর হয়ে গেলে বেঁচে থাকার পথ দুটি: ডায়ালাইসিস করা অথবা কিডনি প্রতিস্থাপন। দুটি বিষয় নিয়েই রয়েছে নানা বিভ্রান্তি, আতঙ্ক ও ভুল ধারণা। কিডনির চূড়ান্ত পর্যায়ের অকার্যকারিতা বা এন্ড স্টেজ রেনাল ডিজিজ হলে তবেই বিকল্প উপায়ে কিডনির কাজ চালানোর কথা ভাবা হয়।
নানা কারণে কিডনি নিষ্ক্রিয় বা অকার্যকর হতে পারে। এ জন্য অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ এবং কিডনির নানা রকম রোগ দায়ী। কিডনির প্রধান কাজ হচ্ছে রক্ত শোধন করা ও অনাকাঙ্ক্ষিত বর্জ্য প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে বের করে দেওয়া। না হলে রক্তে দূষিত পদার্থ জমে মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ডায়ালাইসিস বা বিকল্প উপায়ে তখন ওই বর্জ্য নিষ্কাশনের চেষ্টা করা হয়। এখন প্রশ্ন ওঠে, কোনটা ভালো? ডায়ালাইসিস নাকি কিডনি সংযোজন?
কিডনি প্রতিস্থাপন করাটাই তুলনামূলক ভালো পন্থা, কেননা সফলভাবে কিডনি সংযোজনের পর রোগীর জীবনের গুণগত মান ডায়ালাইসিস করানো রোগীর চেয়ে ভালো হয়। কিন্তু কিডনি পাওয়াটাই বড় সমস্যা। আত্মীয়স্বজন বা অন্য কোনো ব্যক্তির কাছ থেকে কিডনি সংগ্রহ করাটা সহজ ব্যাপার নয়। অনেক সময় দাতা পাওয়া গেলেও সেটা রোগীর শরীরের উপযোগী হয় না বা সঠিক ম্যাচিং হয় না।
কিডনি বিক্রি নিয়ে বিভ্রান্তিকর অনেক কথার প্রচলন রয়েছে। আইনত কাউকে কিডনি দান করা যায়, কিন্তু বিক্রি করা যায় না। কিডনি প্রতিস্থাপনের আগে দীর্ঘ পরীক্ষা-নিরীক্ষা, সঠিক ম্যাচিং ও প্রস্ততির ব্যাপার রয়েছে। সবকিছু মিলে গেলে তবেই কিডনি দাতা ও গ্রহীতা দুজনের অস্ত্রোপচার একই সঙ্গে শুরু হয়। এই অস্ত্রোপচার জটিল এবং যেকোনো জায়গায় যে কেউ করতে পারেন না।
আইন অনুযায়ী জীবিত দাতার কাছ থেকে কিডনি নিয়ে সংযোজন করা যায়। এ ক্ষেত্রে মা-বাবা, ভাই-বোন, চাচা, মামা, খালা, ফুফু ও স্বামী-স্ত্রী কিডনি দান করতে পারেন। কেউ যদি মৃত্যুর আগে কিডনি দান করে যান, তাঁর আত্মীয়স্বজনের অনুমতি সাপেক্ষে সেই কিডনি অন্য কারও শরীরে সংযোজন করা যায়।
অধ্যাপক জামানুল ইসলাম ভুঁইয়া
প্রাক্তন পরিচালক, জাতীয় কিডনি ও ইউরোলজি ইনস্টিটিউট
স্বাস্থ্যবটিকা ® ব্রোন স্মিথ
‘হোয়াইট টি’ কী?
‘হোয়াইট টি’ বা সাদা চা নামটি এসেছে চা গাছের রুপালি-সাদা কুঁড়ি থেকে
‘গ্রিন টি’, ‘ব্ল্যাক টি’ বা ‘ওলং টির’ মতো একই রকম চা পাতা থেকে হোয়াইট টি তৈরি করা হয়। সব রকমের চায়ের মধ্যে এটি সবচেয়ে কম প্রক্রিয়াজাত চা। ঘূর্ণনের মাধ্যমে চূর্ণ করা হয় না বলেই হোয়াইট টির স্বাদ অন্য রকম। এই চায়ের অধিকাংশ সরবরাহ আসে চীনের ফুজিয়ান প্রদেশ থেকে।
‘স্বাস্থ্যবটিকা’র লক্ষ্য রোগনির্ণয় গোছের কিছু নয়
প্রশ্নোত্তর
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে রয়েছে নানা রকম স্বাস্থ্যসমস্যা। অনেক সময় ঘরে বসেই কিংবা জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এসব সমস্যার সমাধান সম্ভব। আপনার সমস্যা নিয়ে প্রশ্ন পাঠান। উত্তর দেবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা। বয়স লিখতে ভুলবেন না।
স্বাস্থ্যসমস্যা নিয়ে প্রশ্ন পাঠাতে পারেন এই ঠিকানায়: ভালো থাকুন
প্রথম আলো, সিএ ভবন, ১০০ কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউ, কারওয়ান বাজার ঢাকা-১২১৫