তুমুল আড্ডা দিচ্ছেন বন্ধুরা মিলে। আড্ডার একজন শুরু থেকেই একটু পরপর চপেটাঘাত করছেন তার নিজের শরীরের নানা অংশে। ঠাস ঠুস ঠাস! আর কিছুক্ষণ পরপরই রেগেমেগে বলে উঠছেন, ‘ধুর, এই মশা শুধু আমাকেই কামড়ায় কেন!’ অতিপরিচিত এক দৃশ্য। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন, যারা ‘মশাবান্ধব’! দশজনের মধ্যে এই বিশেষ একজনকে খুঁজে পেতে মশাদের বেগ পেতে হয় না। কেমন কেমন করে যেন প্রিয় ‘বন্ধু’র খোঁজ পেয়ে যায় প্রাণীগুলো! ‘বন্ধু’র দেখা পেলে তার শরীরে হুল বসিয়ে টেনে নেয় রক্ত! আহ্, সে কি আরাম তাদের! আর মশার কামড় খেয়ে নাকাল অবস্থা বেচারা ‘মশাবান্ধবের’। কিন্তু মশা কেন বেছে বেছে এমন মানুষদেরই বেশি কামড়ায়? মশা আকৃষ্ট হয়, এমন কিছু কারণ খুঁজে বের করেছেন গবেষকেরা। পড়ুন সেই কারণগুলো।
জিনগত কারণ
পৃথিবীতে যত লোক বাঘের কামড়ে মারা যায় তার চেয়ে বেশি মারা যায় মশার কামড়ে। সম্প্রতি গবেষকরা খুঁজে বের করেছেন মশার কামড়ের পেছনে সম্ভাব্য কারণ। তারা বলছেন, সাধারণত মশা কামড়ায় জিনগত কারণে। স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়েব এমডি জানিয়েছে এই তথ্য।
যুক্তরাজ্যের একদল বিজ্ঞানী বলছেন, শরীরের বিশেষ ধরনের ডিএনএ মশার জন্য চুম্বকের মতো কাজ করে। পরীক্ষার সময় ওই বিজ্ঞানীরা ১৮ জোড়া ‘আইডেনটিক্যাল’ ও ১৯ জোড়া ‘ফ্র্যাটারনাল’ যমজ বোনকে একটি ইংরেজি অক্ষর ‘ওয়াই’ আকৃতির টিউবের দুই মাথায় বসিয়ে দেন। এরপর টিউবের তৃতীয় সোজা প্রান্তটি থেকে ২০টি ক্ষুধার্ত মশা ছেড়ে দেওয়া হয়। মশাগুলো ডান না বামদিকের পথে এগোয়, তা দেখাই ছিল এর উদ্দেশ্য। ফল বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ১৮ জোড়া ‘আইডেনটিক্যাল’ যমজের দিকেই মশাগুলো বেশি আকৃষ্ট হচ্ছে। সুনির্দিষ্টভাবে বললে ৬৭ শতাংশ ক্ষেত্রেই মশাদের আকৃষ্ট করার পেছনে জিন বা বংশগতির ভূমিকা রয়েছে। যমজ হচ্ছে দুধরনের—‘আইডেনটিক্যাল’ ও ‘ফ্র্যাটারনাল’। আইডেনটিক্যাল যমজ হয় একটি মাত্র কোষ থেকে আর ফ্র্যাটারনাল হয় দুটি ডিম্বাণু থেকে। গবেষকেরা বলছেন, বিশেষ ধরনের ডিএনএগুলো এমন কিছু মাইক্রো ব্যাকটেরিয়াকে আকৃষ্ট করে, যাদের নিজস্ব গন্ধ থাকে। আর মশা তারই আকর্ষণে ছুটে যায়।
বিজ্ঞানীদের ভাষ্যমতে, প্রতিটি মানুষের শরীরই ১০০ ট্রিলিয়নের মতো অণুজীব দিয়ে ঢাকা থাকে। এই অণুজীবের জগৎ রক্তে ভিটামিন এবং অন্যান্য রাসায়নিক তৈরি করে। এসব রাসায়নিক থেকেই গন্ধের উৎপত্তি। অণুজীবগুলোর বেশির ভাগই মানুষে মানুষে ভিন্ন। একেক অণুজীবের তৈরি রাসায়নিকের গন্ধ একেক রকম। আর বিভিন্ন জাতের মশা শরীরের বিভিন্ন অংশের ভিন্ন ভিন্ন গন্ধে আকৃষ্ট হয়। এ কারণেই দেখা যায়, ম্যালেরিয়ার জীবাণুবাহী অ্যানোফিলিস মশা বেশি কামড়ায় মানুষের হাত ও পায়ে।
গর্ভাবস্থা
কার্বন ডাই-অক্সাইডের প্রতি প্রবল আকর্ষণ আছে মশাদের। অন্য সময়ের তুলনায় গর্ভাবস্থায় নারীরা বেশি পরিমাণে কার্বন ডাই-অক্সাইড ছাড়েন। ফলে মশারা তাঁদের প্রতি আরও বেশি আকৃষ্ট হয়। একই ব্যাপার ঘটে শিশুদের বেলায়ও। এ কারণে সম্প্রতি দুনিয়ার নানা প্রান্তে জিকা ভাইরাসে আক্রান্তের মধ্যে শিশুদের কথাই বেশি শোনা গেছে।
শারীরিক পরিশ্রম
খেয়াল করে দেখুন, কিছুক্ষণ দৌড়ানোর পর মশারা ছেঁকে ধরে। শুধু দৌড় নয়, যেকোনো শারীরিক পরিশ্রমের পরপরই এমনটা হয়। এটার পেছনে ভূমিকা রাখে আমাদের শরীরের ল্যাকটিক অ্যাসিড। শারীরিক পরিশ্রমের পর স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি পরিমাণে ল্যাকটিক অ্যাসিড নির্গত করে আমাদের শরীরের মাংশপেশিগুলো। আর এই উপাদানটির ‘ঘ্রাণ’ পেয়েই ছুটে আসে মশা!
‘ও’ গ্রুপের রক্ত
ফেসবুকে মানুষ কত না গ্রুপে জয়েন করে। মশারা যদি ফেসবুক চালাত, তাহলে হয়তো একমাত্র ‘ও’ গ্রুপেই জয়েন করে বসে থাকত। কৌতুক বাদ। সিরিয়াস তথ্য হলো মশারা ‘ও’ গ্রুপের রক্তের মহা ভক্ত! গবেষকেরা দেখেছেন, মশার কামড় খাওয়ার হার এই গ্রুপের বেলায় ৮৩ শতাংশ।
ঘামের গন্ধ
অনেকেই বেশি ঘেমে ওঠেন৷ আর ঘামের ল্যাকটিক অ্যাসিড মশাদের হাতছানি দেয়৷ বডি টেমপারেচারের তারতম্যও ঘামের একটা কারণ৷ সুতরাং কারও যদি বেশি ঘাম হয়, তবে মশার আক্রমণের জন্য তৈরি থাকতে হবে আবার৷ ঘামের মধ্যে থাকে ল্যাকটিক অ্যাসিড, ইউরিক অ্যাসিড, অ্যামোনিয়া, যার গন্ধেই মশারা আকৃষ্ট হয়।
পোশাকের রং
পোশাকের রংও মশাদের ডাক পাঠায়৷ বিশেষত গাঢ় কোনও রং৷ লাল রং হলে তো আর কথাই নেই৷ তাই গরম বা যে যে সময়ে মশাদের উপদ্রব বেশি, সেই সময় হালকা রংয়ের পোশাক পরাই শ্রেয়৷
স্টেরয়েড আর কোলেস্টেরল
ত্বকে স্টেরয়েড আর কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকলেও মশা বেশি করে কামড়ায়। তবে ত্বক বেশি কোলেস্টেরল মানেই এই না যে শরীরেও বেশি কোলেস্টেরল। কিন্তু ত্বকে কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি হলেই মশা বেশি আকৃষ্ট হয়।
বিয়ার পানকারী
যারা বেশি মাত্রায় বিয়ার খান তাদের রক্তের প্রতিও আকৃষ্ট হয় মশারা। বিশেষ করে পরীক্ষা করে দেখা গেছে বিয়ার খাওয়ার ঠিক পরেই মশারা সেই ব্যক্তিকে বেশি করে কামড়ায়। ৫০ মিটার দূর থেকে গন্ধ পেয়ে মশারা কামড়াতে আসে।
পায়ের দুর্গন্ধ
PLOS ONE নামক জার্নালে প্রকাশিত গবেষণা প্রতিবেদনে জানা যায় যে, যাদের পায়ে দুর্গন্ধ হয় তাদের প্রতি মশারা আকৃষ্ট হয়। পায়ের কটু গন্ধ সৃষ্টির জন্য ব্যাকটেরিয়া দায়ী। ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল এন্টোমোলজির অধ্যাপক ডা. জোনাথন ডে বলেন, মশা কামড় দেয়ার জন্য শরীরের এমন স্থান বেছে নেয় যেখানে রক্ত ত্বকের কাছাকাছি থাকে যেমন- কপাল, কবজি, কনুই এবং ঘাড়। এছাড়া হাত ও পায়ে কামড়াতেও পছন্দ করে মশারা।
এছাড়াও লম্বা মানুষদের প্রতি এবং মেয়েদের চেয়ে ছেলেদের প্রতি মশা আকৃষ্ট হয় বেশি। মশাদের মধ্যে পুরুষ নয় নারী মশারাই রক্ত পান করে তাদের ডিমের পুষ্টিসাধনের জন্য।
মশার কামড় থেকে বাঁচতে আপনি যা করতে পারেন :
১. পিসারিডিন, DEET বা IR 3535 যুক্ত পোকানাশক ব্যবহার করুন আপনার ঘরকে মশামুক্ত করতে
২. ত্বকে লেমন ইউক্যালিপটাস তেল বা প্যারামেন্থন-ডায়ল পণ্য ব্যবহার করতে পারেন
৩. মশা কামড়ানোর সময় বিশেষ করে সন্ধ্যায় বাহিরের কাজ করা থেকে বিরত থাকুন। যদি বাহিরে যেতে হয় তাহলে বড় হাতার জামা, পেন্ট ও মোজা পরুন।
৪. আপনার বাড়ির দরজা ও জানালায় নেট লাগাতে পারেন যাতে মশা ঢুকতে না পারে।
৫. ঘরের ভেতরে বা বাহিরে কোথাও যেনো পানি জমে না থাকে সেদিকে খেয়াল করুন।
৬. হালকা রঙের কাপড় পরুন, কারণ মশারা গাঁড় রঙের প্রতি আকৃষ্ট হয়।
তবে সবার আগে যে কাজটা করতে হবে তা হলো মশার উৎস বন্ধ করতে হবে। তার জন্য মশা মারার ওষুধ ছিটিয়ে মশা নিধন করতে হবে। মশার ডিম পাড়ার স্থানগুলোয় ব্যবস্থা নিতে হবে, যেন মশা সেখানে ডিম না পাড়তে পারে। যেমন বদ্ধ পানিতে প্রবাহ আনতে হবে, যেন এনোফিলিস ও কিউলেক্স মশা ডিম না পাড়তে পারে। ড্রেন, পুকুর বা অন্য জলাশয়ের নোংরা পানি পরিষ্কার করতে হবে। বাসাবাড়ির ছাদে ও আশপাশে থাকা ফুলের টব, ডাবের খোসা, কোমল পানীয়ের ক্যান, পরিত্যক্ত টায়ার ইত্যাদিতে চার-পাঁচদিনের বেশি সময় ধরে যেন পানি জমে থাকতে না পারে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তা হলে এডিস মশার ডিম পাড়ার জায়গা থাকবে না। ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে। ঘরে অ্যারোসল স্প্রে ও দরজা জানালায় নেট ব্যবহার করা যেতে পারে।
মশার কামড়ের পর করণীয়
বরফের টুকরো
মশার কামড় প্রতিরোধে বরফের টুকরো অথবা ঠান্ডা প্যাক আশ্চর্যজনকভাবে কাজ করে। বরফ কামড়ের স্থানটিকে ঠান্ডা করে যা ফোলাকে নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়া মশার কামড়ের স্থানে গামছায় মোড়ানো বরফের টুকরো ১০ মিনিট রাখলে ধীরে ধীরে ফোলা এবং অন্যান্য সমস্যাগুলো দূর হয়ে যায়।
অ্যালোভেরা
অ্যালোভেরাও মশার কামড় প্রতিরোধে সহায়ক। এটি সূর্যের তাপ থেকে পুড়ে যাওয়ার সমস্যা থেকেও রক্ষা করে।
টি ব্যাগ
মশার কামড়ের ফোলাভাব কমাতে এটি কার্যকরী ভূমিকা রাখে। চা পাতার কষ রক্ত বন্ধ করতেও কাজ করে। এছাড়া মশার কামড়ে মাথা ব্যথা হলেও তা কমাতে সাহায্য করে এই টি ব্যাগ।
বেকিং সোডা পেস্ট
মশার কামড় প্রতিরোধে এটি কার্যকর এবং সহজ প্রাকৃতিক উপায়। চুলকানিতেও ভালো কাজ করে এটি। কিছু বেকিং সোডাতে পরিমাণ মতো পানি দিয়ে পেষ্ট করে মশার কামড়ানো স্থানে লাগিয়ে শুকানো পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। বেকিং সোডায় থাকা ক্ষার আক্রান্ত এলাকার অম্লিক পিএইচ প্রতিরোধ করে এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে।
আপেল সিডার ভিনেগার
মশার কামড় এবং ফোলা প্রতিরোধে এটি শ্রেষ্ঠ প্রতিকারক হিসেবে কাজ করে। আপেল সিডার ভিনেগার অনেকটা বেকিং সোডার মতোই কামড় প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। এটি সংক্রামিত স্থানে লাগালে তা ওই স্থানের পিএইচের ভারসাম্য রক্ষা করে।
পুদিনা পাতা
মশার কামড়ানো প্রতিরোধে কার্যকরী ভূমিকা রাখে এই পুদিনা পাতা। এটি পেস্ট করে কামড়ের স্থানে লাগালে ব্যথা কমে যায়।
অ্যালকোহল
মশার কামড়ে সৃষ্ট চুলকানি কমাতে সাহায্য করে অ্যালকোহল। একটি পরিষ্কার কাপড়ে কিছুটা অ্যালকোহল নিয়ে তা আক্রান্ত স্থানে লাগান। এটা আক্রান্ত স্থানকে ঠান্ডা রাখবে এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করবে।
টুথপেষ্ট
চুলকানির স্থানটি ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে আক্রান্ত স্থানটিতে টুথপেষ্ট লাগালে ধীরে ধীরে চুলকানি ও ফোলা কমে যায়।
মধু
মধু শুধু ত্বকের জন্যই নয়; স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারি। আক্রান্ত স্থানে মধু লাগালে তা চুলকানি কমায়। একই সাথে এটি ব্যাকটেরিয়াও ধ্বংস করে। মধু ময়েশ্চারাইজারের কাজ করায় আক্রান্ত স্থানের ফোলা ভাব কমাতেও সাহায্য করে এটি।
পেয়াজ এবং রসুন
পেঁয়াজ এবং রসুন মশার কামড় থেকে সৃষ্ট ফোলা এবং চুলকানি কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া এগুলোর গন্ধ কীটপতঙ্গ এবং মশা মাড়তেও সাহায্য করে। আক্রান্ত স্থানে পেঁয়াজ বা রসুন লাগানোর কয়েক মিনিট পর ধুয়ে ফেলুন। তাতে ধীরে ধীরে ফোলা এবং চুলকানি কমে যাবে।
লেবু
এটিও মশা কামড়ের একটি প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে। দুই টুকরা লেবু আক্রান্ত স্থানে ঘষলে সংক্রমিত হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
কী কী খাবার নিয়মিত খেলে মশা কাছে ঘেঁষবে না
ভিটামিন বি ১
এই নিয়ে বিতর্ক আছে ঠিকই। তবে একদল বিশেষজ্ঞ মনে করেন এই ভিটামিনটি শরীরে প্রবেশ করা মাত্র আমাদের গায়ের গন্ধের প্রকৃতি একেবারে বদলে যায়। সাধারণ সময় শরীর থেকে যেমন গন্ধ বেরয়, এই ভিটামিনটি খাওয়ার পরে একেবারে অন্য রকমের গন্ধ বেরয়, যা মশা এবং পোকা-মাকড়দের দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
কাঁচা লঙ্কা
অপনি কি ঝাল খেতে ভালবাসেন? তাহলে তো কেল্লাফতে! কারণ একাধিক গবেষণা বলছে প্রতিদিন বেশি বেশি করে লঙ্কা খেলে একটা মশাকেও ধারেকাছে দেখতে পাওয়া যায় না। কেন এমনটা হয় জানেন? কারণ লঙ্কায় রয়েছে ক্যাপসিসিন নামে একটি উপাদান, যা মশাদের দূরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রসঙ্গত, লঙ্কা খেলে যে ঝাল লাগে, তা এই ক্যাপসিসিনের কারণেই।
রসুন এবং পেঁয়াজ
এই দুটি সবজি শরীরে প্রবেশ করা মাত্র আমাদের গা থেকে অ্যালিসিন নামে একটি কম্পাউন্ড বেরতে শুরু করে, যা মশাদের দূরে রাখতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার
প্রতিদিন মধু, স্যুপ অথবা স্যালাডে ১ চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনিগার মিশিয়ে খেলে শরীর থেকে এমন গন্ধ বেরতে শুরু করে যে বিরক্তিকর মশার দলেরা ধারকাছে ঘেঁষতে পারে না। তাই এই গরমে মশার জ্বালায় যদি তিতিবিরক্ত হয়ে গিয়ে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই অ্যাপেল সিডার ভিনিগার খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন একেবারে হাতে-নাতে ফল পাবেন।
পেঁয়াজকলি
এটি খাওয়া মাত্র এতে উপস্থিত সিট্রোনেলা তেল আমাদের শরীর থেকে বেরতে শুরু করে, যা কোনও এক অজানা কারণে মশাদের দূরে রাখতে দারুন কাজে দেয়। তবে গরমকাল পেঁয়াজকলি পাবেন কিনা, সে বিষয়ে একটু সন্দেহ রয়েছে।
মটরশুঁটি, ডাল এবং টমাটো
এই তিনটিতেই রয়েছে থিয়ামিন নামে একটি উপাদান, যা শরীরে প্রবেশ করা মাত্র এমন বিক্রিয়া করে যে আমাদের গা থেকে এক ধরনের গন্ধ বেরতে শুরু করে, যা মশাদের দূরে রাখে।