আইএসের হাত থেকে কোনোরকমে পালিয়ে এসে বিস্ফোরক তরুণী। এই বয়সে যে তাকে এত অত্যাচার সহ্য করতে হবে তা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবতে পারেনি সে। তাঁর কথায়, একবার, দুবার নয়, বিভিন্ন মানুষের হাতে একাধিকবার গণধর্ষিত হতে হয়েছে তাঁকে। শুধু তাই নয়, জোর করে তাঁকে দিয়ে প্রার্থনা করিয়ে তবেই গণধর্ষণ করা হয়েছে। গত কয়েক দিন আগে নাদিয়া মুরাদ নামে ওই যুবতী আইএসের গোপন ডেরা থেকে পালিয়ে আসে। এরপরই প্রকাশ্যে আনে অভিজ্ঞতার কথা। মুরাদের কথায়, হঠাৎ করেই একদিন আইএস জঙ্গিরা হামলা চালায় ইরাকের সিনজোর শহরে। বেছে বেছে সেখানকার শিশু এবং পুরুষদের খুন করে তারা। এমনকি, বৃদ্ধ মহিলাদেরও ছাড়েনি তারা। এরপর শুধুমাত্র মহিলাদের বন্দি বানিয়ে সিনজোর থেকে চম্পট দেয় জঙ্গিরা। শুধু মুরাদ নন, এ রকম বেশ কিছু মহিলাকে বন্দি বানিয়ে মসুলে নিয়ে আসে জঙ্গিরা। এরপর আর পাঁচটা ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মহিলার মতো, তাঁকেও বন্দি বানিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বিক্রির জন্য। এরপর যৌনদাসী হিসেবে একবার নয়, একাধিক খদ্দেরের কাছে বিক্রি করা হয় তাঁকে। এরপর সবার সামনেই চালানো হতো অত্যাচার। শুধু তাই নয়, অত্যাচার শুরু আগে, জোর করে যৌনদাসীদের দিয়ে ঈশ্বরের নাম করানো হতো। চলত প্রার্থনা। আর তারপরই শুরু হতো নির্মম অত্যাচারের পালা।