বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসে গত মঙ্গলবারের সন্ত্রাসী হামলার পর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের দায়ে গতকাল শনিবার তিনজন সন্দেহভাজনকে অভিযুক্ত করেছেন দেশটির কৌঁসুলিরা। ইউরোপের প্রাণকেন্দ্রে ওই হামলার ঘটনায় ৪০টি দেশের ৩১ জন নাগরিক নিহত ও কয়েক শ লোক আহত হয়।
কৌঁসুলিরা বলেছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিদের অন্যতম ফয়সাল শেফুকে ব্রাসেলসের কৌঁসুলি কার্যালয়ের বাইরেই গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বাসায় তল্লাশি চালানো হয়। তবে সেখান থেকে কোনো অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া যায়নি।
কৌঁসুলি কার্যালয়ের এক বিবৃতিতে জানানো হয়, ফয়সালের বিরুদ্ধে ‘একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের কার্যকলাপে অংশ নেওয়া, সন্ত্রাসী হত্যাকাণ্ড চালানো এবং সন্ত্রাসী হত্যাকাণ্ডের চেষ্টা চালানোর’ অভিযোগ আনা হয়েছে। বিবৃতিতে তাঁকে সংক্ষেপে ‘ফয়সাল সি’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
বেলজিয়ামের পত্রপত্রিকায় বলা হয়েছে, বিমানবন্দরের সিসিটিভি ফুটেজে যে তিন সন্দেহভাজন সন্ত্রাসীর ছবি ধরা পড়েছে, ফয়সাল শেফু তাঁদের মধ্যে তৃতীয়জন। তিনি একজন ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। তবে কৌঁসুলি কার্যালয়ের বিবৃতিতে এ বিষয়ে কিছুই বলা হয়নি। সিসিটিভির ছবির অন্য দুজন হচ্ছেন আত্মঘাতী হামলাকারী নাজিম লাশরাউয়ি ও ইব্রাহীম আল বকরাউয়ি। ইব্রাহীমের ভাই খালিদ আল-বকরাউয়ি ব্রাসেলস মেট্রোতে হামলা চালান। গত বৃহস্পতি ও শুক্রবার ফ্রান্স, জার্মানি ও বেলজিয়ামে অভিযান চালিয়ে যে ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়, শেফু তাঁদেরই একজন।
প্রায় অভিন্ন অভিযোগে অভিযুক্ত অন্য দুজন হচ্ছেন আবুবকর ও রাবাহ এন। ফ্রান্সে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানের সূত্রে রাবাহ এনকে খোঁজা হচ্ছিল। বলা হয়েছে, ওই অভিযানের মাধ্যমে ফ্রান্সে অত্যাসন্ন একটি বড় হামলা ঠেকিয়ে দেওয়া সম্ভব হয়। কৌঁসুলিরা বলেছেন, তাঁরা আবদেরমানে এ নামে আরেকজনকে আরও ২৪ ঘণ্টার জন্য আটক রেখেছেন। মঙ্গলবারের হামলার পর চালানো অভিযানে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক তৌফিক নামের একজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।