তথ্য প্রযুক্তি বদলে দিয়েছে পৃথিবীকে, বদলে গেছে অপরাধের ধরনও । ঘরে বসে অপরাধীরা দেশের সীমানা ছাড়িয়ে চলে যাচ্ছে পৃথিবীর একপ্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে। পুরো বিশ্বকে অপরাধের এক বিশাল ক্ষেত্র বানিয়ে নিয়েছে অপরাধীরা। সাইবার অপরাধে বড় একটা জায়গা দখল করে আছে হ্যাকিং। তার মধ্যদিয়ে ক্ষতির মুখে পড়ছে কোটি কোটি কম্পিউটার ব্যবহারকারী। এসব থেকে বাদ যাচ্ছে না বাংলাদেশের মানুষও। অনলাইনের দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে কিছুদিন আগে বাংলাদেশী একটি বেসরকারী ব্যাংকের কয়েকজন গ্রাহকের হিসাব থেকে হ্যাক করে টাকা নিয়ে গেছে হ্যাকাররা। হ্যাকিং এমন একটি প্রক্রিয়া যেখানে কেউ বৈধ অনুমতি না নিয়ে কোন কম্পিউটার কিংবা কম্পিউটার নেটওয়ার্ক এ প্রবেশ করে ফেলে। আর যারা এ কাজটা করে তাদেরকে হ্যাকার বলে। হ্যাকাররা সাধারনত কম্পিউটার সফটওয়ার এর ত্রুটি বের করে তা দিয়েই হ্যাক করে। বাংলাদেশের হ্যাকার কিংবা হ্যাকিং এর বিষয়টি সাধারন মানুষের সামনে উঠে আসে ভারত বাংলাদেশ সাইবার যুদ্ধের মাধ্যমে। ২০১২ সালে ভারতীয় সীমান্তে একজন বাংলাদেশীকে নির্যাতনের একটি ঘটনা ঘটে। তার প্রতিবাদে বাংলাদেশের হ্যাকাররা প্রথমে ভারতের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন সাইটে আক্রমন চালায়। পাল্টা আক্রমন চালায় ভারতও।[ আমাদের পেজ এ লাইক দিয়ে অ্যাক্টিভ থাকুন ও পোস্টটি শেয়ার করে বন্ধুদের জানিয়ে দিন ]
তারাও বাংলাদেশের অনেক সরকারি সাইট হ্যাক করে বসে। সেই যুদ্ধে ভারতীয় প্রায় বিশ হাজার সাইটে আক্রমন চালায় বাংলাদেশের সাইবার যোদ্ধারা। তাতেই পিছিয়ে যায় ভারতের হ্যাকাররা। তখনই কৃতিত্ব দাবী করে বসে বাংলাদেশের তিনটি হ্যাকার গ্রুপ বাংলাদেশ ব্লাক হ্যাট হ্যাকারস, বাংলাদেশ সাইবার আর্মি, এক্সপায়ার সাইবার আর্মি। হ্যাকাররা মূলত তিন প্রকার হোয়াইট হ্যাট হ্যাকার, ব্লাক হ্যাট হ্যাকার, ফ্রি হ্যাট হ্যাকার।
হোয়াইট হ্যাট হ্যাকাররা মূলত ওয়েবসাইটের মালিকের অনুমতি নিয়ে তার নিরাপত্তা তদারকি করে। ব্লাক হ্যাট হ্যাকাররা ওয়েবসাইটের দুর্বলতা কাজে লাগিয়ে তাদের নিজের স্বার্থ উদ্ধার করে। আর ফ্রি হ্যাট হ্যাকাররা ভাল কাজও করে আবার তাদের প্রয়োজনে খারাপ কাজও করে। রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের হিসাব থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা তুলে নিয়ে গেছে হ্যাকাররা। প্রমানতো দুরের কথা কোন চিহ্নপর্যন্ত পাচ্ছেনা কতৃপক্ষ। হ্যাকাররা বিভিন্নভাবে তাদের কার্য হাসিল করে। অনেকেই সাধারনত কোন ব্যাক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানের অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ও অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা পয়সা সরিয়ে নেয়। আরেক ধরনের অপরাধ তারা করে থাকে যাকে বলে মেইল বোম্বিং। কারো ইমেইল আইডি হ্যাক করে কয়েক সেকেন্ড এর মধ্যে তার মেইলে পাঠিয়ে দেয়া হয় হাজার হাজার মেইল। এত মেইলের ভিড়ে ব্যাক্তি তার প্রয়োজনীয় মেইল খুজে পায় না। যার কারনে তাকে অনেক ভোগান্তি পোহাতে হয়। আর ফেইজবুক অ্যাকাউন্ট হ্যাকতো নতুন কিছু নয়। আজকে আপনাদের আমরা দেখাবো নাম পরিচয়বিহীন এসব হ্যাকার আপনার কি কি ক্ষতি করতে পারে। বিস্থারিত জানতে নিচের ভিডিওটি দেখুন প্রতিবেদনের ভিডিওটি দেখুনঃ