যদি শরীরের বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলতে চান তবে বেশি করে পানি পান করুন। পানি দেহ বিপাককে উসেক দেয় এবং পেটে আনে ভরাট ভাব। আর আহারের আগে আগে পেট ভর্তি পানি পান করলে বিপাক হয় উজ্জীবিত, এই প্রক্রিয়ায় শরীরের বাড়তি ক্যালোরি পোড়ে যায়।
পানি উজ্জীবিত করে শরীরের শক্তিকে পর্যাপ্ত পানি পান করলে হৃদযন্ত্র রক্তকে পাম্প করতে পারে আরও কার্যকরভাবে। পানি রক্তকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন বহনে সহায়তা করে, অন্যান্য পুষ্টিকণাকে কোষে পৌঁছে দিতে সহায়তা করে থাকে।
পানি পান করে চাপকে লঘু করুন মস্তিষ্ক টিস্যুর ৭০-৯০ শতাংশ হলো পানি। শরীরে পানি শূন্যতা হলে দেহ মন চাপ গ্রস্ত হয়। পিপাসার্ত মনে হওয়া মানে ইতিমধ্যে আপনি কিছুটা পানিশূন্য হয়েছেন। তাই চাপ কম রাখার জন্য ডেস্কে এক বোতল পানি রাখুন, বা সঙ্গে ছোট বোতল বহন করুন, মাঝে মধ্যে চুমুক দিয়ে পানি পান করুন।
পানি পানে গড়ে উঠে পেশির টোন পানি পান করলে পেশীর খিচুনি অনেকটা রোধ হয়। হাড়ের গিটে পিচ্ছিল ভাব রাখে। শরীর সজল থাকলে, পানিপূর্ণ থাকলে দীর্ঘ সময় ব্যায়াম করা যায় সজোরে। ফলে ক্লান্তি আসেনা সহজে।
ত্বক হয় পুরিপুষ্ট পানি হলো প্রকৃতির স্বাভাবিক সৌন্দর্য প্রসাধনী। তাই পানি পান করলে ত্বক হয় সজল, পেলব, কোমল ও সজীব। মুখ মন্ডল হয় তরুণ। নিষ্কাশিত হয় ময়লা, উন্নত হয় রক্ত সংবহন ও প্রবাহ, ত্বক হয় উজ্জ্বল।
পরিপাকের জন্য পানি নিয়মিত খাদ্য যেমন প্রয়োজন তেমনি খাদ্য পারিপাকের জন্য পানিও প্রয়োজন শরীরে। পানি বর্জ্য পদার্থ গলিয়ে দেয় এবং পাচক নল দিয়ে সাবলীলভাবে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে। শরীর পানিশূন্য হলে দেহ শুষে নেয় সব পানি, মলান্দ্র হয়ে পড়ে শুষ্ক এবং মল হয়ে পড়ে কঠিন। পরিণতিতে কোষ্ঠ-কাঠিন্য হতে পারে।
শরীরের পানি শূন্যতায় কিডনিতে পাথরের সম্ভাবনা বাড়ে বড়-ছোট প্রায় সবারই এখন পানি পানে অনিহা। প্রস্রাবের লবণ ও খণিজ পানির অভাবে কঠিন স্ফটিক আকার ধারণ করে, যাকে আমরা বলি কিডনি পাথর। তাই প্রচুর পানি পান করে হ্রাস করুন কিডনির পাথরের ঝুঁকি।