গ্রীষ্মেকালে গরম লাগবেই। তবে এ সময় শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে খেতে পারেন নানান রকম ফল। স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এমনই কিছু খাবারের নাম উল্লেখ করা হয়। খাবারগুলো প্রচণ্ড গরমে শরীরের তাপ কিছুটা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
দই :
দই এক ধরনের ‘সুপার ফুড’ এমনটাই বলেন ভারতীয় পুষ্টিবিদ ডা. নিতি দেসাই।
তিনি বলেন, “গরমে নিয়মিত দই খাওয়া উপকারী। এমনকি যারা ‘ল্যাকটস ইনটলারেন্ট’ সমস্যায় ভুগছেন তারাও দই খেতে পারবেন। দইয়ে প্রচুর ক্যালসিয়াম রয়েছে, এছাড়াও স্বাস্থ্যকর প্রোটিনেরও ভালো উৎস এই খাবার। আরও আছে ভিটামিন বি টুয়েলভ ও ভিটামিন ডি। তাছাড়া দইয়ে থাকা প্রোবায়োটিকস নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধে কার্যকর। সরাসরি না খেতে চাইলে লাচ্ছি বা দই থেকে তৈরি পানীয় পান করা যায়।”
আইসড টি:
যারা চা-প্রেমী তাদের জন্য উপযোগী পানীয় আইসড টি। নিজের পছন্দের চা বানিয়ে তা ঠাণ্ডা করে বরফ কুচি মিশিয়ে পান করুন। গরমে লেবু, স্ট্রবেরি, কমলা ইত্যাদি দিয়ে তৈরি চা বেশ উপযোগী।
মরিচ:
স্বাদে ঝাল। তবে মরিচ শরীর ঠাণ্ডা রাখে। শুনতে অবাক লাগলেও কথা সত্যি। মরিচে থাকা ক্যাপসাইসিন উপাদান শরীরের রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে। এতে শরীরে ঘাম হয়। আর ঘামই শরীরের বাড়তি তাপ কমিয়ে শরীর ঠাণ্ডা করে আনতে সাহায্য করে।
তরমুজ :
গরমে বেশ জনপ্রিয় এবং উপকারী ফলের নাম তরমুজ। লাইকোপেন সমৃদ্ধ তরমুজের ৯০ শতাংশই পানি। তাই গরমে পানি শূন্যতা এড়াতে এই ফল বেশ উপকারী। এছাড়াও ঘামের কারণে শরীর থেকে যে খনিজ উপাদান বের হয়ে যায়, তরমুজ সেগুলোর ক্ষতি পুষিয়ে উঠতেও সাহায্য করে।
ডাবের পানি :
গরমের দিনে তৃষ্ণা মেটাতে ডাবের পানির জুড়ি নেই। এই প্রাকৃতিক সুস্বাদু পানীয় রক্তের ইলেট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে এবং এতে শরীর ঠাণ্ডা থাকে। তাছাড়া নারিকেলের শাঁসে আছে প্রচুর আঁশ, প্রাকৃতিক এনজাইম, আয়রন, সোডিয়াম, পটাশিয়াশ-সহ আরও বেশ কিছু খনিজ উপাদান। তাই ডাব/নারিকেল খাওয়া গরমে বেশ উপকারী।
ফলের তৈরি পপসিকল :
বাজার থেকে ললি বা আইসক্রিম না কিনে ঘরেই বিভিন্ন মৌসুমি ফল স্ট্রবেরি, আম, ডাবের পানি, নারিকেলের পানি, তরমুজ ইত্যাদি মিলিয়ে ফ্রিজের বরফ জমার ফ্রেমে দিয়ে জমিয়ে নিন। সঙ্গে দিতে পারেন কমলার সুগন্ধি বা আদার রস। ঠাণ্ডায় অল্প জমে আসতেই প্রতিটি খোপে কাঠি গুঁজে দিতে পারেন।
ডায়াবেটিকদের জন্য এই পানীয়র সঙ্গে ভাজা জিরাগুঁড়া মিশিয়ে তৈরি করে নিতে পারেন জামুন পপসিকল।