হ্যালোটুডে ডটকম: ‘শেষের কবিতায়’ লাবণ্যর উদ্দেশে অমিত রায় লিখেছিল, “চুমিয়া যেয়ো তুমি/আমার বনভূমি/দক্ষিণ-সাগরের সমীরণে”।
প্রেমের সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যম হল চুমু বা কিস। চুমুর মাধ্যমে বোঝা যায় প্রেমিক যুগলের মধ্যে সততা, বিশ্বস্ততা।
প্রেমের সম্পর্কে অজস্র কথা যা প্রকাশ করতে পারে না তা সহজ ভাবে বুঝিয়ে দিতে পারে একটি আলতো চুমু।
রাত পোহালেই আসছে সেই কাঙ্খিত দিন, প্রেমের দিন বা ভ্যালেন্টাইন্স ডে। তার আগের দিন অর্থ্যাত্ শনিবার প্রেমের সপ্তাহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ দিন। কারণ এ দিন হল কিস ডে। প্রতি বছর ১৩ ফেব্রুয়ারি মহাসমারহে পালন করা হয় কিস ডে বা চুম্বন দিবস।
কিন্তু জানেন কী বিভিন্ন কায়দার চুমুর আছে বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা? আসুন জেনে নিই কী সেই ব্যাখ্যা।
• কপালে আলতো চুমু সম্পর্কের গভীরতা এবং নির্ভরতা বোঝায়। আপনার কপালে প্রিয়জনের চুমু বুঝিয়ে দেয় তাঁর জীবনে আপনি কতটা মূল্যবান। আপনাকে সকল বিপদ থেকে রক্ষা করতে উনি বদ্ধপরিকর।
• কানে চুমু বোঝায় প্রেমের সম্পর্কে আপনি কতটা প্যাশনেট।
• ঘাড়ে চুমু খেলে বোঝায় প্রেমিক বা প্রেমিকা খুবই রোম্যান্টিক।
• গালে চুমু ইঙ্গিত দেয় বন্ধুত্বের।
• হাতের তালুতে চুমু বোঝায় আপনার পছন্দ।
• প্রিয়জনের পায়ের তালুতে আলতো চুমু প্রলুব্ধতাকে নির্দেশ করে।
• তেমনই কাঁধে খাওয়া চুমু বুঝিয়ে দেবে আপনার প্রিয়জনকে আপনি কতটা চান।
• সবচেয়ে প্যাশনেট ভঙ্গিমায় চুমু হল লিপ-টু-লিপ কিস বা ওষ্ঠ চুম্বন। প্রেমের সম্পর্কে অন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেয় এই ভঙ্গিমায় খাওয়া চুমু। গভীর মানসিক একাত্মতাকে নির্দেশ করে এই চুমুর ভঙ্গিমা।
তাই জীবনের সমস্ত বিরস ভাব কাটিয়ে মহাসমারহে পালন করুন কিস ডে। আপনার আলতো চুমুর ছোঁয়ায় প্রিয়জনের মুখের নরম হাসিই বুঝিয়ে দেবে তাঁর জীবনে আপনি কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
যে কোনও আবেগকে পরিষ্ফুট ভাবে প্রকাশ করতে যিনি বাঙালির শেষ আশ্রয় সেই রবীন্দ্রনাথ চুম্বন কবিতায় অনেক আগেই বলেছেন—
‘দুটি তরঙ্গ উঠি প্রেমের নিয়মে
ভাঙিয়া মিলিয়া যায় দুইটি অধরে।।
ব্যাকুল বাসনা দুটি চাহে পরস্পরে-
দেহের সীমায় আসি দুজনের দেখা।।
প্রেম লিখিতেছে গান কোমল আদরে-
অধরেতে থরে থরে চুম্বনের লেখা।।’