অ্যাডেলের জন্য আমি সবকিছু করতে পারি। এক্ষুনি তাঁর বাসায় চলে যেতে পারি। গিয়ে তাঁর কাপড় ধুয়ে দিয়ে আসতে পারি’, আনন্দে আত্মহারা হয়ে কথাগুলো বলেছিলেন কানাডীয় র্যা পার ড্রেক। অ্যাডেলের মতো শিল্পী তাঁর ‘হটলাইন ব্লিং’ গানটার প্রশংসা করেছেন, এ তো যেনতেন কথা নয়।
শেষ পর্যন্ত অ্যাডেলদের ঘরে ঠাঁই হয়েছে ড্রেকের। মাস ফুরোনোর আগেই বিলবোর্ড কর্তৃপক্ষ দিয়েছে আগাম ঘোষণা। তারা বুঝেছে, মাসের আর কটা দিন টপ চার্টেই থাকবে তাঁর অ্যালবাম ভিউজ। তাহলেই টানা ১০ সপ্তাহ টপ চার্টে থাকার গৌরব অর্জন করবেন ড্রেক। এর আগে এ রকম দীর্ঘ সময় টপ চার্টে ছিল অ্যাডেলের ২৫ অ্যালবামটি।
বিলবোর্ড জনপ্রিয় ১০০ হট ও ২০০ হিট গানের সাপ্তাহিক জরিপ শুরু করে সেই ১৯৫৮ ও ১৯৬৩ সালে। তখন থেকে একই সঙ্গে হট ও হিট তালিকায় টানা ১০ সপ্তাহ থাকা শিল্পী পাওয়া গেছে মাত্র তিনজন। এঁদের একজন অ্যাডেল। অন্য দুজনের একজন উইটনি হিউস্টন ও গানের দল ‘সানতানা’। টানা ১০ সপ্তাহ হট ১০০ ও বিলবোর্ড ২০০-এর ১ নম্বর থেকে এবার সেই এক্সক্লুসিভ ক্লাবঘরে ঢুকে পড়লেন ড্রেক।
ড্রেকের পরিচিতি তৈরি হয়েছে অভিনয় দিয়ে। যুক্তরাষ্ট্রের টিনএজারদের টিভি সিরিজ ডেগরেসি: দ্য নেক্সট জেনারেশন-এ অভিনয় করে রীতিমতো তারকা হয়ে গেছেন সেই কিশোরকালেই। আসছে শুক্রবার দেখানো হবে সিরিজটির ৫০০তম পর্ব। তবে তাতে ড্রেককে দেখা যাবে কি না, এ নিয়ে গুঞ্জন চলছে। অন্যদিকে গান তাঁকে দিয়েছে দারুণ জনপ্রিয়তা। ২০০৬ সাল থেকে মিশ্র অ্যালবামের জন্য গাইতে শুরু করার পর থেকে জনপ্রিয় হয় তাঁর বেশ কিছু গান। সেগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘এভরি গার্ল’, ‘বেস্ট আই এভার হ্যাড’, ‘মানি টু ব্লো’, ‘টেক কেয়ারসহ আরও কয়েকটি।
র্যা প অ্যালবামের জন্য ২০১৩ সালে গ্র্যামি, সেরা ভিডিওর জন্য বিইটিসহ বেশ কিছু পুরস্কারও পেয়েছেন ড্রেক। কানাডার টরন্টোয় জন্ম নেওয়া ড্রেক একবার ডায়েরিতে লিখেছিলেন, ‘তিন তিনটি ভাষাভঙ্গিতে (অ্যাকসেন্ট) র্যা প করি। কিন্তু কোনটি যে আমার নিজের ভাষাভঙ্গি এখনো বুঝতে পারছি না।’ বিলবোর্ড বলে দিচ্ছে, অভিনেতা ড্রেক, তিন ভাষাভঙ্গির র্যা পার—সব মিলিয়েই তাঁকে বুঝে নিয়েছেন তরুণেরা।
বিলবোর্ড, বায়োগ্রাফি অবলম্বনে।