সবেমাত্র চট্টগ্রামের একটি বাড়িতে দৃশ্যধারণ শেষে রেলস্টেশনের পাশে একটি হোটেলে খেতে বসেছে পুরো শুটিং দল। এমন সময় সহকারী পরিচালক দৌড়ে এসে জানালেন, তাঁদের ঢাকা ফেরার ট্রেনটি সাড়ে ১১টায় নয়, ১১টায়। শুনে তো সবারই মুখ থেকে ভাত পড়ে যাওয়ার জোগাড়। ঢাকায় গিয়ে সবারই ব্যস্ততা। রাতের ট্রেন ধরতে না পারলে সকালের মধ্যে ঢাকা পৌঁছানো অনিশ্চিত। সঙ্গে সঙ্গে খাবার ফেলে অভিনেতা-অভিনেত্রীসহ পুরো ২৬ জনের টিম ছুটল ট্রেন ধরতে। হাতে সময় আছে চার মিনিট। হোটেলের পাশে স্টেশন হলেও চার মিনিটে যাওয়া অত সোজা নয়। একপর্যায়ে কে কার আগে ট্রেন ধরতে পারেন, এ জন্য সবাই শুরু করলেন দৌড়। এর মধ্যেই হঠাৎ দেখতে পেলেন ট্রেনটি ছেড়ে দিচ্ছে। দৌড়ে পরিচালক সবার আগে। তার পেছনে রয়েছে মিথিলা ও জন। পরিচালক দৌড়ে এগিয়ে থাকলেও শেষ পর্যন্ত ট্রেনে উঠে প্রথম হন মিথিলা, এরপর পা রাখেন জন কবির। পরিচালকসহ মোট ছয়জন ট্রেনটি ধরতে পারলেও বাকিরা ব্যর্থ হন।
সম্প্রতি ‘আ জার্নি টু চিটাগং’ নামে সাত পর্বের ধারাবাহিকের দৃশ্যধারণ শেষে ঘটেছে এই ঘটনা। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন মাবরুর রশিদ। নাটকে অভিনয় করেছেন জন কবির ও মিথিলা। জন কবির বলেন, ‘অনেকবার কনসার্ট করতে চট্টগ্রাম এসেছি। শুটিংয়ে এবারই প্রথম। তবে ট্রেন ধরার ঘটনাটা স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’
পরিচালক জানিয়েছেন, চট্টগ্রামে ধারাবাহিকটির দৃশ্যধারণ শেষ হয়েছে। এটি এবার ঈদে এশিয়ান টিভিতে প্রচারিত হবে। এতে আরও অভিনয় করেছেন কচি খন্দকার, কাজী উজ্জ্বল, সুজাত শিমুল, শাওন, নাবিলা, সিফাত প্রমুখ।