তাঁর অনুপ্রেরণার স্ফুলিঙ্গ এসে পড়েছিল বলিউডেও। এমনকি কয়েক মাস আগে মুক্তি পাওয়া সালা খাড়ুস ছবির অনুপ্রেরণার কেন্দ্রেও ছিলেন তিনি। তবে শুধু অনুপ্রেরণা দিয়ে নয়, মোহাম্মদ আলীর অভিনয় করার কথাও ছিল বলিউডের ছবিতে। এ ব্যাপারে কথা অনেক দূর এগিয়ে গিয়েছিল। শেষ পর্যন্ত দুইয়ে দুইয়ে মেলেনি। সদ্যপ্রয়াত এই কিংবদন্তি বক্সারের কথা স্মরণ করতে গিয়ে অমিতাভ বচ্চন দিলেন এই তথ্য।
বলিউড কিংবদন্তি বলেছেন, ‘লস অ্যাঞ্জেলেসে বেভারলি হিলসে তাঁর (আলীর) বাড়িতে গিয়েছিলাম ১৯৭৯ সালের দিকে। তিনি খুবই সাদামাটা, সদাহাস্যোজ্জ্বল মাটির এক মানুষ ছিলেন। প্রকাশ মেহরা চাইছিলেন তঁাকে নিয়ে একটা ছবি করতে। এ নিয়ে কথা বলতেই আমরা মোহাম্মদ আলীর বাড়িতে গিয়েছিলাম। শেষ পর্যন্ত ছবিটা হয়নি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কাটানো ওই মুহূর্তগুলো আমার জন্য আজও স্মরণীয়।’
আলীর শ্রেষ্ঠত্ব ও অবদান যে শুধু বক্সিং রিং কিংবা খেলাতেই সীমাবদ্ধ নয়, সেটিও মনে করিয়ে দিয়েছেন সিনিয়র বচ্চন, ‘তিনি সর্বকালের সেরা ছিলেন, সেরা থাকবেন। শুধু বক্সিং রিংয়ে নন; এর বাইরের জগতে, নিজের জীবনেও তিনি অনেক বাধার সম্মুখীন হয়েছিলেন। লড়াই করেছেন এর সঙ্গে। জীবনজুড়ে লড়াই করেছেন, শেষ পর্যন্ত জয়ীও হয়েছেন। অনন্য ছিল তাঁর জীবন। বর্ণবৈষম্যের শিকার হওয়ার প্রতিবাদে তিনি নিজের সোনার মেডেল নদীতে ছুড়ে ফেলে দিয়েছিলেন। এতটাই অনুপ্রেরণা দেয় তাঁর জীবনের গল্প। তাই তিনি শুধু একজন ক্রীড়াবিদই ছিলেন না, নিজের ভাবনা দিয়ে তিনি আজও আমাদের অনুপ্রাণিত করেন।’ টিওআই।