ফের ধর্ষণ বলিপাড়ায়। এবার আঙুল প্রোডিউসারের দিকে। বলিউডে অভিনয়ের সুযোগ দেবে টোপ দিয়ে, কন্নড়ের এক অভিনেত্রীকে নিয়মিত ধর্ষণের অভিযোগ উঠল বলিউডের এক প্রোডিউসার বিরুদ্ধে।
তবে এই কাহিনি আজকের নয়। বছর দুই ধরে প্রোডিউসারের লালসার শিকার এই অভিনেত্রী। তবে শেষমেশ নিজেকে বাঁচাতে মুখ খুললেন নায়িকা।
ঘটনাটি খুলে বলা যাক :
বেশ কয়েকটি কন্নর ছবিতে অভিনয় করার পর চোখে বলিউডের নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে মুম্বাই আসেন তিনি। কমন বন্ধু মারফত আলাপ হয় আলতাফ মার্চেন্টের সঙ্গে। আলতাফ নিজেকে প্রোডিউসার বলে পরিচয় দেন। তারপর? আলাপ বাড়ে। একদিন আলতাফ তাঁকে নিজের বাড়িতে ডাকেন। ২০১৪ সালে প্রথম মার্চেন্টের বান্দার ফ্ল্যাটে যায় সে। সেখানে গিয়ে চমকে যান তিনি। দেখেন বেশ কয়েকজন অল্পবয়সী ছেলে-মেয়ে নিয়ে আলতাফের ফ্ল্যাটে জমে উঠেছে নেশার আড্ডা। আলতাফ তাঁকে নেশা করতে বলে। কিন্তু নেশা করবে না বললে, তাঁর চুলের মুঠি ধরে নিয়ে যাওয়া হয় পাশের ঘরে। মুখে দিয়ে দেওয়া হয় সাদা পাউডার। তারপর ধর্ষণ করা হয় তাঁকে। অভিনেত্রীর অনুমান ওটা কোকেন ছিল।
আজও সে জানে না কতজন তাঁকে ধর্ষণ করেছিল। তবে সেদিন সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে তাঁর মাথায় অসহ্য যন্ত্রণা সঙ্গে যৌনাঙ্গে প্রবল ব্যথা করছিল।
তবে এখানেই শেষ নয়। এরপর শুরু হয় অত্যাচার। এই ঘটনার টানা ছয় মাস পর পর্যন্ত মেয়েটির উপর চলে মানসিক ও শারীরিক অত্যাচার। এই সময় নেশার কবলে পড়েন তিনি। জোর করে তাঁকে দিয়ে নোংরা সিডি বানানো হয়। এরপর আর সহ্য না করতে পেরে সে চলে আসে চণ্ডীগড়ে নিজের বাড়িতে। কিন্তু নিস্তার মেলেনা সেখানেও। প্রতিদিন ফোন করে হুমকি দেওয়া হয় তাঁকে। বলা হয়, নেটে তাঁর অশ্লীল ছবি ছেড়ে দেওয়া হবে।
তবে একটুও ভয় না পেয়ে সে পুরো ঘটনা জানায় পরিবারকে। পরিবারের পরামর্শে আলতাফের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় সে। মাদক নেশা থেকে মুক্তি পেতে রিহ্যাব গিয়েছিলেন তিনি। সেখান থেকে ফিরে মুম্বাইয়ের বান্দা থানায় আলতাফ মার্চেন্টের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন অভিনেত্রী।
সূত্র: কলকাতা