বুলবুলের ১৭ বছর ধরে ব্যবহৃত সিম অন্যের নামে’ শিরোনামে গত ১ জুন কালের কণ্ঠ অনলাইন সংস্করণে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। যেখানে প্রখ্যাত সঙ্গীতজ্ঞ আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের ১৭ বছর ধরে ব্যবহৃত সিম অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়েছিল। এরপর গতকাল সিমটি ফেরত পেয়েছেন আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল। আর এজন্য কালের কণ্ঠকে ধন্যবাদও জানিয়েছেন তিনি।
আমার ১৭ বছর এর পুরাতন ও প্রিয় গ্রামীণফোন ফোন সিম টি রিকভারি এবং আমার নামে রেজিস্ট্রেশন হয়েছে গতকাল। লাল-সবুজ এর মুক্ত পতাকার মুক্ত শুভেচ্ছা জানাই তাদের – যারা এই সিম রিকভারিতে’তে বিশেষ ভূমিকা পালন করেছে।
তিনি সেইদিন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমার দুটি গুরুত্বপূর্ণ সিম রেজিস্ট্রেশন করতে গিয়ে দেখলাম সিম দুটি অন্য দুজন মানুষের নামে এরই মধ্যে রেজিস্ট্রেশন হয়ে গিয়েছে। বাহ!’ এখন থেকে ঐ দুটি ভাগ্যবান মানুষ ইচ্ছে করলেই আমার সকল গোপন তথ্য সহজেই সংগ্রহ করতে সক্ষম, বাহ! ফোন দুটিতে আমার কাছের মানুষরা কল দিতেই কল ধরবে ওই ভাগ্যবান দুজন। বাহ! বাহ! বিশেষ ধন্যবাদ মোবাইল কম্পানিকে।’
এছাড়াও তিনি কালের কণ্ঠকে ফোনে বলেছিলেন, আমি ১৭ বছর ধরে একটি সিম ব্যবহার করে আসছি। যেটাতে আমার ছেলের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রয়োজনীয় বিষয়গুলোও মেসেজের মাধ্যমে আসে। সিমটি অন্যের নামে রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাওয়ার কারনে আমি ওই মোবাইল অপারেটর কম্পানির সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানান, দেড় বছর অব্যবহৃত থাকলে সিমটি রিসাইকেল করে বিক্রি করে দেওয়া হয়। বুলবুল বলেন, তাঁদের এই ব্যখ্যাও এক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়, কেন না আমি সিমটি মাঝে মাঝে বন্ধ রাখলেও আমি ব্যবহার করি। গত একমাস আগেও ৫০০টাকা রিচার্জ করেছি। শুধু এইসমস্যা আমার ক্ষেত্রে না, আমার যে নিরাপত্তায় নিয়োজিত পুলিশ রয়েছেন তাঁর ক্ষেত্রেও এই ঘটনা ঘটেছে।
বুলবুল ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালীম, বিটিআরসি’র ভাইস চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব:) আহাসান হাবীব খানসহ আরও বেশ ক’জনকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।