রাত প্রায় সাড়ে ১২টা। তখনো পুরান ঢাকার শ্যামবাজারের একটি বাড়ির ছাদে শুটিং চলছে। পরিচালক এসে নাটকের অভিনেতা সজলকে বললেন, ‘এখন আমরা আইসক্রিম খাওয়ার শট নেব।’ প্রথমে অভিনেতা সজল ভাবছিলেন, আইসক্রিম খেতে হবে, এ আবার এমন কী? কিন্তু যখন দৃশ্যধারণ শুরু হলো, তখন ধীরে ধীরে বুঝতে শুরু করলেন সজল, কাজটি আসলে এতটা সহজ নয়।
নির্দিষ্ট এই দৃশ্য ধারণের জন্য আটটি আইসক্রিম আগে থেকেই সেটে এনে রাখা হয়েছিল। দৃশ্যধারণ শুরু হলে তাঁকে একে একে ১৭টি আইসক্রিম খেতে হয়। একসময় অভিনয়শিল্পীর মুখ ঠান্ডায় জমে যাওয়ার মতো অবস্থায় চলে যায়। সজল বলেন, ‘ঠান্ডায় ঠিকমতো কথা বলতে পারছিলাম না। কথা জড়িয়ে যাচ্ছিল। পুরো জিব, দাঁত আইসক্রিমের রঙের জন্য সবুজ হয়ে ওঠে। ওই আইসক্রিমের দৃশ্য ধারণ করতে আধ ঘণ্টা সময় লেগে যায়।’
ঠান্ডা জমাটবাঁধা সেই পরিস্থিতি নিয়ে সজল বলেন, একসময় তো পরিচালককে শুটিং ঘণ্টা খানেকের জন্য বন্ধও রাখতে হয়। কারণ, মুখ দিয়ে তো কোনো সংলাপই বেরোচ্ছিল না তাঁর। তা ছাড়া নিখুঁত শট পাওয়ার জন্য আটটি আইসক্রিম ততক্ষণে শেষ। মাঝরাতে ঠিক সবুজ রঙের আইসক্রিম খুঁজতেও লেগে যায় ঘণ্টা খানেক সময়। পরে অবশ্য রাত দুইটায় বেশ কিছু আইসক্রিম নিয়ে আবারও শুরু হয় শুটিং। আর রাত প্রায় তিনটার দিকে ১৭তম আইসক্রিম খাওয়া হলে পাওয়া যায় কাঙ্ক্ষিত নিখুঁত শট।
ওল্ড টাউন লেন নামের নাটকের দৃশ্যধারণের সময় সজলকে এই অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে যেতে হয়। নাটকটি রচনা ও পরিচালনা করেছেন সাদাত রাসেল। এতে অভিনয় করেছেন লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার প্রতিযোগিতাখ্যাত নাদিয়া ও শহীদুল ইসলাম সাচ্চু।