সাংস্কৃতিক নানা চর্চার মধ্য দিয়ে ব্যক্তিত্বসম্পন্ন এবং উন্নত মানসিকতার মানুষ গঠন লক্ষ্যে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুদের অংশগ্রহণে জাতীয় পর্যায়ে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছে। প্রতিযোগিতার কয়েকটি ধাপ পেরিয়ে ঢাকায় জাতীয় পর্যায়ে কাল শুক্রবার ও শনিবার এসব শিশুরা সংগীত, নৃত্য ও আবৃত্তির নানা বিভাগে পারফর্ম করবে।
এতে দেশের সব সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা অংশ নিচ্ছে। কাল ও পরশু জাতীয় পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত বিজয়ী নির্বাচন করা হবে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালার সেমিনার কক্ষে এ নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার আন্দোলনকে ত্বরান্বিত করা ও তৃণমূলের শিশুশিল্পীদের জাতীয় পর্যায়ে বিকাশের প্রত্যয়ে বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে ‘বাংলাদেশের সকল সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা আয়োজন’ কর্মসূচির আওতায় এ সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হচ্ছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের পৃষ্ঠপোষকতায় ও শিল্পকলা একাডেমির ব্যবস্থাপনায় সংগীত, আবৃত্তি, নৃত্য, অভিনয়সহ মোট ১১টি বিষয়ে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে।
আগামী কাল ও পরশু সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমিতে এ প্রতিযোগিতায় অংশ নেবেন জেলা ও মহানগরের ১ম ও ২য় স্থান বিজয়ী ১৫৬০ জন প্রতিযোগী। একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা ভবন, জাতীয় চারুকলা ভবন ও প্রশিক্ষণ ভবনে জাতীয় পর্যায়ের এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকেই প্রতিযোগীদের বিনোদনের জন্য একাডেমির নন্দন মঞ্চে থাকবে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী ও সন্ধ্যা ৬টা থেকে একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এতে অ্যাক্রোবেটিক প্রদর্শনী প্রদর্শন করবে শিল্পকলা একাডেমির অ্যাক্রোবেটিক দল। জাতীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় ১১টি বিষয়ের প্রত্যেকটির ১ম, ২য় ও ৩য় স্থান অধিকারীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সংবাদ সম্মেলনের উপস্থিত ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী, প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক ইকবাল হোসেন, চারুকলা বিভাগের পরিচালক উত্পল কুমার দাস, প্রশিক্ষণ বিভাগের পরিচালক শাওকাত ফারুক, এই প্রতিযোগিতা কর্মসূচির পরিচালক সোহরাব উদ্দীন প্রমুখ