কুমন’ কঙ্গনাকে গালমন্দ শেখর সুমনের। গৃহত্যাগ প্রেমিক আদিত্যের স্ত্রীয়ের
কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে হৃতিক রোশনের গোলমাল যখন মিটব-মিটব করছে, ঠিক তখনই বলিউডের ‘কুইনে’র প্রাক্তন দুই প্রেমিকের পরিবার নিয়ে আলোচনা শুরু হলো। কঙ্গনার ‘চরিত্র’ বিশ্লেষণ করবেন বলে এক প্রাক্তনের বাবা-মা সটান চলে গেলেন টেলিভিশন চ্যানেলে! আরেক প্রাক্তনের তিতিবিরক্ত স্ত্রী বোধহয় বাড়ি ছেড়েই চলে গিয়েছেন।
কঙ্গনা রানাউতের সঙ্গে হৃতিক রোশনের গোলমাল যখন মিটব-মিটব করছে, ঠিক তখনই বলিউডের ‘কুইনে’র প্রাক্তন দুই প্রেমিকের পরিবার নিয়ে চর্চা শুরু হলো। কঙ্গনার ‘চরিত্র’ বিশ্লেষণ করবেন বলে এক প্রাক্তনের বাবা-মা সটান চলে গেলেন টেলিভিশন চ্যানেলে! আরেক প্রাক্তনের তিতিবিরক্ত স্ত্রী বোধহয় বাড়ি ছেড়েই চলে গেছেন।
আজ ‘এবিপি নিউজ’এ এক সাক্ষাৎকারে কঙ্গনার প্রাক্তন প্রেমিক অধ্যয়ন সুমনের বাবা শেখর এবং মা অলকা নায়িকা সম্পর্কে পুত্রের সাম্প্রতিক নিন্দামন্দের পাদপূরণ করেছেন। আর অধ্যয়ন বিতর্কে মন্তব্য করায় আরেক প্রাক্তন আদিত্য পাঞ্চোলির স্ত্রী জারিনা ওয়াহাব আজই রাগ করে বাড়ি ছেড়েছেন বলে খবর রটেছে।
শেখরপুত্র তাঁর ঘোর বিতর্কিত সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন প্রেমিকাকে ‘পিশাচ’ পর্যন্ত বলতে ছাড়েননি। পারিবারিক পণ্ডিত’জিকে উদ্ধৃত করে জানিয়েছেন, কঙ্গনার কোষ্ঠীতে নাকি ‘পিশাচ যোগ’ রয়েছে! আজ সে প্রসঙ্গে শেখর বলেন, কঙ্গনার বাড়িতে অদ্ভুত ধরনের পুজোআচ্চা হতো। আমার ছেলেকে ও গোরস্থানেও পাঠিয়েছিল। কঙ্গনা অধ্যয়নকে বশীকরণ করেছিল কি না, জানি না। ওসব মানিও না। তবে ওর ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরেই আমার ছেলের স্বভাবচরিত্র পাল্টে যায়। অলকার কথায়, তখন অধ্যয়নকে দেখে মনে হতো, ও বোধহয় মাদকাসক্ত। সারাক্ষণ ঘোরের মধ্যে থাকত।
অধ্যয়নের সঙ্গে সম্পর্কে থাকার সময়ে কঙ্গনা নিয়মিত তাঁদের বাড়ি যেতেন বলে দাবি করেছেন শেখর। বলেছেন, কঙ্গনাকে ভদ্রসভ্য বলে মনে হতো। ছোট শহর থেকে এসে নিজের চেষ্টায় ভাল কাজ করছে। লড়াকু মেয়ে। ওদের সম্পর্ক নিয়ে আমাদের আপত্তি ছিল না। শেখরের দাবি, অল্পদিনের মধ্যেই তিনি দু’জনের গোলমাল টের পেয়েছিলেন। তাঁর কথায়, ওরা একসঙ্গে থাকার সময়ে একদিন গভীর রাতে অধ্যয়ন কাঁদতে কাঁদতে আমাদের কাছে আসে। বলে, কঙ্গনা নাকি ওকে ঘর থেকে বার করে দিয়েছে! আমি গিয়ে কঙ্গনাকে বোঝাই। ও আমার কথাও শোনেনি।
অলকার দাবি, একটি পার্টিতে মত্ত নায়িকা তাঁর পুত্রকে বাবা-মা তুলে গালাগালি দিতে দিতে জুতো মারছেন, এমন দৃশ্যও তিনি দেখেছেন! শেখরের কথায়, অধ্যয়নকে দেহরক্ষী বা চাপরাশির মতো ব্যবহার করত কঙ্গনা। অনুষ্ঠানে দেখেছি, কঙ্গনাই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে, ফোটোশ্যুট করছে। আমার ছেলে দূরে এক কোণে জুলজুল করে তাকিয়ে বসে রয়েছে! কঙ্গনা বলত, অধ্যয়ন পাশে থাকলে ও ছবি তুলতে দেবে না!
বিতর্কিত সাক্ষাৎকারে অধ্যয়ন জানিয়েছিলেন, কঙ্গনা সম্পর্কে তাঁর বাবাকে সতর্ক করেছিলেন আদিত্য। ওই সাক্ষাৎকার প্রকাশের পরদিনই আদিত্য সাংবাদিকদের বলেন, অধ্যয়ন কে! ওকে আমার কাছে নিয়ে আসুন! যা শুনে জারিনা অসন্তুষ্ট হয়েছিলেন। পরে তাঁর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা হয়েছে বলে আদিত্য দাবি করলেও কঙ্গনা প্রসঙ্গে স্বামীর মুখ খোলাই মেনে নিতে পারেননি স্ত্রী। প্রসঙ্গত, জিয়া খানের রহস্যমৃত্যু মামলায় আদিত্য-জারিনার ছেলে সুরজ জড়িত। কারও কারও মতে, বাবা-ছেলের সমস্যার এই সম্মিলিত চাপই নিতে পারেননি ‘ঘরোন্দা’র (হিন্দি শব্দটির অর্থ ‘বাসা’) নায়িকা জারিনা।
এরই মধ্যে গতকাল ছেলে হৃদানের আট বছরের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হৃতিকের সঙ্গে দেখা গিয়েছিল তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী সুজানকে। কঙ্গনা-কাণ্ডে হৃতিকের পাশে দাঁড়ানোর পরপরই দু’জনকে একসঙ্গে দেখে শুরু হয় জল্পনা। তাতে জল ঢেলে সুজানের টুইট, ‘জল্পনা বন্ধ করুন। হৃতিকের কাছে আমি কখনওই ফিরব না। আমরা আমাদের সন্তানদের ভাল অভিভাবক হয়েই থাকতে চাই’। এবেলা