আন্তর্জাতিক নৃত্য দিবস সামনে রেখে শিল্পকলা একাডেমিতে আজ বুধবার শুরু হচ্ছে ‘নৃত্যাঞ্চল উৎসব’। তিন দিনের এই উৎসবে আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় শিবলী মহম্মদের পরিচালনায় থাকবে কত্থক নাচ। আগামীকাল সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারের প্রযোজনায় নৃত্যনাট্য বাঁদী-বান্দার রূপকথা। নৃত্য দিবসের এই উৎসব ও পরিবেশনা নিয়ে কথা বললেন নৃত্যাঞ্চলের অন্যতম পরিচালক ও শিল্পী শামীম আরা নীপা।
শামীম আরা নীপানাচ নিয়ে আমাদের উদ্যোগগুলোতে আপনি আশাবাদী?
হ্যাঁ, উদ্যোগগুলোকে সাধুবাদ জানাতেই হয়। সারা দেশে নাচ নিয়ে কাজ হচ্ছে, এটা ইতিবাচক। তবে এখন দরকার আরও মানসম্মত ও সুন্দর কিছু কাজ। কাজের পরিমাণের থেকে মানটা জরুরি। তা না হলে দর্শকেরা হতাশ হবেন। আমাদের নাচ একটা সুন্দর জায়গায় পৌঁছেছে। এ জন্য আগের প্রজন্মকে শ্রদ্ধা জানাই। নৃত্যশিল্পী সংস্থার কাজটা উল্লেখযোগ্য। নতুন প্রজন্মের অনেকে নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছে।
নৃত্যাঞ্চল উৎসবের আকর্ষণীয় নৃত্যনাট্যটি নিয়ে বলবেন?
বাঁদী-বান্দার রূপকথা নৃত্যনাট্যটি ‘আলীবাবা চল্লিশ চোর’ গল্প থেকে তৈরি। এতে দর্শক সহজে যুক্ত হতে পারেন। এর নৃত্যভাবনা ও পরিচালনা সুকল্যাণ ভট্টাচার্যের, প্রযোজনা সৃষ্টি কালচারাল সেন্টারের।
উৎসবে বিশেষ শিশুদের অংশ রাখলেন কেন?
এটা করা হয়েছে সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে। তাদের শিক্ষার সুযোগ নেই, হয়তো নিয়মিত খেতেও পায় না। কিন্তু তাদের শৈল্পিক তৃষ্ণা আছে। এদের মধ্যে যারা ভালো করবে, আমাদের দলের নিয়মিত শিল্পী হিসেবে তাদের নিয়ে নেব। নাচ শুধু আর্থিকভাবে স্বাবলম্বীদের জন্য নয়। শুক্রবার বিকেলে শিল্পকলা একাডেমির নন্দন মঞ্চে নাচ করবে সুবিধাবঞ্চিত ও বিশেষ (প্রতিবন্ধী) শিশুরা। এদের মধ্যে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী শিশুদের দলটি লালমনিরহাটের।
শুধু নৃত্যপ্রীতি কি এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে পারবে?
‘নৃত্যের ছন্দে জীবন স্পন্দিত হোক সত্যের সন্ধানে’—এই উপলব্ধিটাই পথচলাকে সহজ করে। শিল্পীরা পথ চলছেন নিজেদের পাগলামি আর ভালো লাগা থেকে। মানুষের উৎসাহ পেলে তাঁদের কাজের আগ্রহ বাড়ে। আর্থিক প্রাপ্তির চেয়ে তাঁরা আত্মিক তৃপ্তিকেই বেশি গুরুত্ব দেন।
সাক্ষাৎকার: রাসেল মাহ্মুদ