৪০০ বছর আগে এই দিনটিতেই মারা গিয়েছিলেন শেক্সপিয়ার। কিন্তু কী অসম্ভব আলোকোজ্জ্বল তাঁর জীবন যে আজও পৃথিবীর প্রতিটি কোণে এখনো মঞ্চনাটকের বড় অবলম্বন হয়ে বেঁচে আছেন তিনি। বাংলাদেশও তার ব্যতিক্রম নয়। এই দিনটিকে স্মরণ করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স স্টাডিজ বিভাগ আজ মঞ্চে আনছে ‘শেক্সপিয়ার সপ্তক’ নামের পরিবেশনা। নাম শুনেই বোঝা যাচ্ছে শেক্সপিয়ারের সাতটি নাটকের কিছু অংশ নিয়ে সাজানো হয়েছে এই অনুষ্ঠান। আজ ও আগামীকাল সন্ধ্যা সাতটা ৩০ মিনিটে ব্রিটিশ কাউন্সিলে গেলে যে কেউ ম্যাকবেথ, হ্যামলেট, ওথেলো, রোমিও অ্যান্ড জুলিয়েট, টেমিং অব দ্য শ্রু, অ্যাজ ইউ লাইক ইট, এ মিড
সামার নাইটস ড্রিম নাটকের অংশ নিয়ে গড়ে ওঠা নাট্যমালাটি দেখতে পাবেন।
.বিভাগের চেয়ারম্যান সুদীপ চক্রবর্তী নির্দেশনা দিয়েছেন এই নাট্যসপ্তকের। প্রতিটি আলাদা মঞ্চস্থ হবে। ব্রিটিশ কাউন্সিলের একাধিক আয়তনে একই সঙ্গে শুরু হবে তিনটি নাটক। এরপর ২০ মিনিটের বিরতি। দর্শকেরা স্থান বদল করে অন্য নাটক দেখবেন এরপর। এভাবে একসময় সাতটি নাটকের প্রদর্শনীই উঠবে মঞ্চে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের থিয়েটার অ্যান্ড পারফরম্যান্স বিভাগে নাটকের মহড়া দেখতে গিয়ে বোঝা গেল, বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থীরা কী অসামান্য পরিশ্রমই না করছেন! চারটি ট্র্যাজেডি আর তিনটি কমেডির নির্বাচিত অংশে নাটকের মূল ভাবনা ধরে রাখা হয়েছে। কমেডিগুলোর কোনো কোনোটিতে আঞ্চলিক ভাষার সুপ্রয়োগ দেখা গেছে। মৃত্যুদিনে প্রযোজনাটি হয়ে উঠতে পারে কিংবদন্তি এই নাটকের মানুষের জন্য সাহসী বিনম্র এক অর্ঘ্য।
এই প্রযোজনায় সহযোগিতা করেছে ‘ব্রিটিশ কাউন্সিল শেক্সপিয়ার লিভ্স গ্লোবাল প্রোগ্রাম ২০১৬’।