এক হাজার শিল্পী সমবেত কণ্ঠে ‘এসো হে বৈশাখ এসো এসো’ গেয়ে বরণ করে নিলেন বাংলা নতুন বছরকে। হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণের এই আয়োজনটি করেছিল চ্যানেল আই ও সুরের ধারা। আজ বৃহস্পতিবার ভোরে পয়লা বৈশাখের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র প্রাঙ্গণে ছিল বাংলা বর্ষবরণের আয়োজন ‘সানসিল্ক-চ্যানেল আই হাজারো কণ্ঠে বর্ষবরণ ১৪২৩ ’। গত কয়েক বছর ধরেই এই আয়োজন করে আসছে প্রতিষ্ঠান দুটি।
সকালে সুরের ধারার সভাপতি রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার নেতৃত্বে বর্ষবরণের এই আয়োজনে অংশ নেন নানা বয়সী এক হাজার শিল্পী। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ‘ওঠো ওঠো রে’ গানটি পরিবেশন করেন। পরে সমবেত কণ্ঠে গাওয়া হয় বর্ষবরণের অন্যান্য গান। এ ছাড়া গান করেন শিল্পী রফিকুল আলম, শাহীন সামাদ, রথীন্দ্রনাথ রায়, তপন মাহমুদ, আজিজুর রহমান, কোনাল, চ্যানেল আই এর রিয়্যালিটি শো বাংলার গানের শিল্পীরাসহ চ্যানেল আই সেরা কণ্ঠের শিল্পীরা। ছিল দলীয় নাচ ও বৈশাখী পোশাকের ফ্যাশন শো।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্যে রাখেন চ্যানেল আইয়ের পরিচালক ও বার্তাপ্রধান শাইখ সিরাজ ও শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা। অনুষ্ঠানে আবৃত্তি করেন সৈয়দ হাসান ইমাম ও আফজাল হোসেন।
বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে ছিলেন বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ফরিদুর রেজা সাগর, ইউনিলিভারের ব্র্যান্ড বিল্ডিং ডিরেক্টর জাভেদ আকতারসহ দেশ ও বিদেশের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা।
অনুষ্ঠানের শেষ হয় এলআরবির পরিবেশনার মধ্য দিয়ে। দলটি তাদের বেশ কিছু জনপ্রিয় গান পরিবেশন করে। সব শেষে দলের সবাই সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ গানের কয়েকটি চরণ গেয়ে বিদায় নেন।
গত সন্ধ্যায় এই অনুষ্ঠানস্থলেই ছিল চৈত্রসংক্রান্তি উৎসব। সেই উৎসব ও আজকের এই আয়োজন সরাসরি সম্প্রচার করেছে চ্যানেল আই ও ভারতের জি বাংলা।