নজরুলের প্রসঙ্গ এলেই গল্পটি বলতে ভালোবাসেন প্রবীণ সাংবাদিক ইকবাল বাহার চৌধুরী। বৈশাখ উৎসবে নজরুলসংগীতের সন্ধ্যায়ও এর ব্যতিক্রম হয়নি। সেই অনুষ্ঠান উপস্থাপনার ফাঁকে নজরুলের একটি কবিতা আবৃত্তি করে শোনান তিনি। চট্টগ্রামে তাঁর দাদাবাড়ির নারিকেল বীথিতে বসে সেটি লিখেছিলেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম।
গতকাল শনিবার সকালে ধানমন্ডির বেঙ্গল ক্যাফেতে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনের বৈশাখ উৎসব। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে এ উৎসবের শুরু হয় শিশুদের সমবেত কণ্ঠে ‘এসো প্রাণ ভরানো’ গানটি দিয়ে। এ ছাড়া এই শিশুরা ‘আজি নূতন রতনে’, ‘আমি ভাই ক্ষ্যাপা বাউল’সহ আরও বেশ কয়েকটি গান গেয়ে শোনায়। ছড়া পাঠ করে শোনায় সিলেটের গীতবিতান বাংলাদেশ, ঢাকার ম্যাপললিফ ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের শিশুরা। উৎসবের প্রথমার্ধে ছিল পাপেট শো।
সন্ধ্যায় নজরুলের গানের আসর শুরু হয় চম্পা বণিকের ‘সৃজন ছন্দে আনন্দে’ গানটি দিয়ে। ‘মনে রাখার দিন গিয়েছে’ গানটি শোনান শহিদ কবির, খায়রুল আনাম শাকিল শোনান ‘বল ভাই মাভৈঃ মাভৈঃ’, ‘ভাইয়ের দোরে ভাই কেঁদে যায়’সহ আরও একটি গান। এই আসরে তিনটি করে গান শোনান লতিফুন জুলিও, শারমিন সাথী ইসলাম, ইয়াকুব আলী খান, নাসিমা শাহীন, মোহাম্মদ শোয়েব, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রিসহ অন্য শিল্পীরা। উপস্থাপনের ফাঁকে ফাঁকে নজরুলের কবিতা আবৃত্তি করে শোনান ইকবাল বাহার চৌধুরী।
আজ সন্ধ্যা সাতটা থেকে উৎসবে থাকবে শুধুই রবীন্দ্রনাথের গান। গাইবেন অদিতি মহসিন, লাইসা আহমেদ লিসা, বুলবুল ইসলাম ও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাসহ দেশের বরেণ্য শিল্পীরা।