নববর্ষ উপলক্ষে পাঁচ দিনের বৈশাখ উত্সবের আয়োজন করেছে বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। আজ থেকে শুরু হয়ে ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এ উৎসব। প্রতিদিন সন্ধ্যা সাতটা থেকে ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ে থাকবে নানা ধরনের গানের আয়োজন। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে থাকবে শিশুদের গান, আবৃত্তি, নাচ ও পাপেট শো। এ ছাড়া পাঁচ দিন ধরে থাকবে নজরুল, রবীন্দ্রনাথ, তিন কবি, রাগাশ্রয়ী, লোক ও শাস্ত্রীয় সংগীত। গাইবেন দেশবরেণ্য শিল্পীরা।
শুরুর দিন সন্ধ্যায় নজরুলসংগীত শোনাবেন চম্পা বণিক, শহিদ কবির, লতিফুন জুলিও, বিজন চন্দ্র মিস্ত্রি, মোহাম্মদ শোয়েব, শারমিন সাথী ইসলাম, নাসিমা শাহীন, ইয়াকুব আলী খান ও খায়রুল আনাম শাকিল। দ্বিতীয় দিন রবীন্দ্রসংগীত গাইবেন সেমন্তী মঞ্জরী, জয়িতা, সৈকত মজুমদার, নির্ঝর চৌধুরী, অদিতি মহসিন, লাইসা আহেমদ লিসা, বুলবুল ইসলাম, শামা রহমান, ফাহিম হোসেন চৌধুরী, মহিউজ্জামান চৌধুরী ও রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।
তৃতীয় দিন থাকবে তিন কবির গান ও রাগাশ্রয়ী সংগীত। গাইবেন ফারহানা রহমান কান্তা, অলোক কুমার সেন, মাহমুদুল হাসান, অনিন্দিতা চৌধুরী, ঝুমা খন্দকার, তানভীর আলম সজীব, সুবীর নন্দী ও ইফ্ফাত আরা দেওয়ান। চতুর্থ দিন লোকসংগীত গাইবেন লাবিক কামাল, ভজন বাউল, সিদ্দিকুর রহমান, হালিমা পারভীন, বিমান চন্দ্র বিশ্বাস, চন্দনা মজুমদার ও কিরণ চন্দ্র রায়। দোতারা বাজাবেন ফাইজুর রহমান। দলীয় যন্ত্রসংগীতের পরিবেশনায় থাকবেন মনিরুজ্জামান (বাঁশি), ইউসুফ খান (সরোদ), নুরুজ্জামান বাদশা (বেহালা), একরাম হোসেন (এসরাজ), ইফতেখার আলম (তবলা), সুষেণ রায় (পাখাওয়াজ)।
উৎসবের শেষ সন্ধ্যায় থাকবে শাস্ত্রীয় সংগীত। এতে দলীয়ভাবে তবলা-বেহালা-বাঁশি বাজাবেন সবুজ আহমেদ, শান্ত আহমেদ ও কামরুল আহমেদ, মোহনবীণা বাজাবেন দোলন কানুনগো, সেতার শোনাবেন এবাদুল হক সৈকত, খেয়াল গাইবেন বর্ষা মজুমদার ও প্রিয়াঙ্কা দাস, প্রিয়াঙ্কা গোপ, ধ্রুপদ গাইবেন রাজিয়া সুলতানা।
চৈত্রেই বৈশাখের আয়োজন প্রসঙ্গে বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সংগীত বিভাগের ঊর্ধ্বতন ব্যবস্থাপক জাহিদুল হক বলেন, ‘চৈত্রের শেষেই বৈশাখের আমেজটা চলে আসে। সে জন্য একটু আগে আগে অনুষ্ঠানটি করা।’ ধানমন্ডির বেঙ্গল শিল্পালয়ের এই অনুষ্ঠান সবার জন্য উন্মুক্ত।