২০১২ সালে মুক্তি পেয়েছিল বাপ্পী ও মাহির প্রথম ছবি ভালোবাসার রং। এরপর জুটি হয়ে অভিনয় করেছেন বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে। আজ মুক্তি পাচ্ছে তাঁদের আরও একটি ছবি—অনেক দামে কেনা। সাধারণ থেকে হয়ে উঠেছেন তারকা। লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের জগতে বারবার পরিবর্তন করেছেন নিজেদের। কী সেই পরিবর্তন? দুজনের সঙ্গে কথা বলে লিখেছেন হাবিবুল্লাহ সিদ্দিক
একে অপরের যে পরিবর্তন চোখে পড়েছে
বাপ্পী: মাহির সঙ্গে যখন আমি প্রথম অভিনয় করি, তখন সে সাধারণ মেয়ে। এখন তো বড় তারকা। তবে আমার কাছে মাহি মাহিই, আমার বন্ধু। আমাদের সম্পর্ক শুরুতে যেমন ছিল, এখনো তেমন আছে। আমাদের হয়তো কাজের পরিধি বেড়েছে। কিন্তু সম্পর্কের কোনো হেরফের হয়নি। আর কাজের ক্ষেত্রে মাহি নিজেকে অনেক পরিবর্তন করে ফেলেছে। অভিনয়ে, দায়িত্বশীলতায়—সব জায়গাতে নিজেকে ইতিবাচকভাবে বদলেছে।
মাহি: বাপ্পীর সবচেয়ে বড় পরিবর্তন হলো, ও এখন ক্যামেরার সামনে বা যেকোনো অনুষ্ঠানে সুন্দর করে গুছিয়ে ও সাবলীলভাবে কথা বলতে পারে। অভিনয় আগের মতোই করছে। মানে আগেও ভালো করত, এখনো করে। ওর সঙ্গে কোনো শুটিংয়ে গেলে আমার মনে হয় না কোনো হিরো বা সহশিল্পীর সঙ্গে কাজ করছি, মনে হয় আমার বন্ধুর সঙ্গে কাজ করছি। আমরা তো সবার আগে বন্ধু।
‘অনেক দামে কেনা’ নিয়ে আশা কতটা?
বাপ্পী: আমি অনেক বেশি আশাবাদী। কারণ, অনেক দিন পরে আমার ও মাহির ছবি মুক্তি পাচ্ছে। প্রেক্ষাগৃহও পেয়েছে অনেকগুলো। আশা করছি, দর্শক অনেক দিন পরে একটি পরিচ্ছন্ন ছবি দেখবেন। আমি সিটি লাইটস (১৯৩১) ছবির চার্লি চ্যাপলিনের চরিত্রের ছায়া অবলম্বনে অভিনয় করেছি। কিন্তু ওই ছবিতে যতটা কমেডি আছে, এখানে ততটা পাওয়া যাবে না।
মাহি: সিটি লাইটস ছবির ছায়া অবলম্বনে তৈরি হয়েছে আমাদের এই ছবিটি। সবাই মিলে চার্লি চ্যাপলিনের ওই ছবিটি দেখার পরই অনেক দামে কেনা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ছবিতে দৃষ্টিপ্রতিবন্ধী এক ফুল বিক্রেতার চরিত্রে অভিনয় করেছি আমি। আমার অন্য সব ছবি থেকে একটু আলাদা।
বিষয়:
আলাপন বিনোদন