অধিকাংশ পুরুষের অভিযোগ, তাঁরা নাকি নারীদের মন বোঝেন না। কেউ কেউ তো আবার এই অপবাদও দেন, নারীদের নাকি বোঝাই যায় না। এই কথাটা পুরোটা না হলেও, কিছুটা সত্যি। নারীরা তো আসলে একটু বেশি আবেগপ্রবণ, তাই তাঁদের কথায়বার্তায় একটা চাপা অনুভূতি লুকিয়ে থাকে। “হ্যাঁ”কে না বলেন, “না”কে বলেন হ্যাঁ। ফলে কোন কথার কী মানে, সেটাই বোঝা কঠিন। তাঁদের মুখের কথায় চলতে গিয়ে হোঁচট খান অনেক পুরুষ। সেই সব কথার আসল অর্থ জানতে উঁকি দিন নারীমনে। জেনে নিন কোন নারীর কোন কথার কী মানে :
১) ‘ওয়াও’
– নারীদের সব ওয়াও কিন্তু ওয়াও হয় না। অনেকসময় তিরস্কার জানাতেও তাঁরা ওয়াও বলে থাকেন। শুধু ওয়াও বলার ধরনটা লক্ষ্য করতে হবে। তা হলেই বুঝে যাবেন পুরস্কার না তিরস্কার।
২) বাদ দাও – ছেড়ে দাও
– এই বাদ দেওয়া বা ছেড়ে দেওয়া কিন্তু একেবারেই বাদ দেওয়া বা ছেড়ে দেওয়া নয়। কোনও মহিলা যদি এমন কথা বলেন, জানবেন সেই বিষয়টি তিনি কোনওদিনই ছেড়ে দেবেন না বা বাদ দেবেন না।
৩) ‘আমার কিছু হয়নি’
– কোনও মহিলা যদি বলেন তাঁর কিছু হয়নি, জানবেন অনেক কিছু হয়েছে। মহিলারা এমন কথা তখনই বলেন, যখন তাঁরা অসম্ভব রেগে থাকেন। তাই প্রথমেই কারণ জানতে চাইবেন না। আগে তাঁকে ঠান্ডা হতে দিন। তারপর জিজ্ঞেস করুন মাথা গরমের কারণ।
৪) ‘আমার কথা আছে’
– কোনও মহিলা যদি এই কথা বলেন, সতর্ক হয়ে যান। আপনার সঙ্গে অনেক পুরোনো হিসেবে নিকেশ করতে চান সে।
৫)“গো অ্যাহেড”
– এই গো অ্যাহেডের অর্থ কিন্তু গো অ্যাহেড নয়। এর মানে, স্টপ। থেমে যান। মনঃপূত না হলে এমন উলটো কথাই বলেন মহিলারা। পুরুষের উচিত থেমে যাওয়া। এর কারণ একটাই। পছন্দসই কাজ হলে মহিলারা নিজে থেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেন, বারবার প্রশ্ন করে অনেককিছু জানতে চান।
৬)“ভালো”
– তর্কবিতর্কের সময় মহিলারা বলেন ভালো। এই ভালোর অর্থ “দারুণ” নয়, এর অর্থ “এবার থামো”।
৭) “না”
– রাগের মুখে নারীদের “না” মানেই হ্যাঁ।
“আইসক্রিম খাবে?”
“না।”
“ফুচকা খাবে?”
“না।”
– এমন সময় প্রশ্ন না করে সোজা কিনে আনুন ফুচকা, আইসক্রিম। রাগের মাথায় হাত থেকে কেড়ে নিয়ে খেয়ে নেবেন।