হ্যালোটুডে ডটকম : ব্রাইডজেট নিলসন এবং আউনা ভার্স নামের দুই মার্কিন নারীর অদ্ভুত দাবি নিয়ে বিশ্বজুড়ে হৈচৈ পড়ে গেছে। তাদের দাবি করেন, এলিয়েনের (ভিন্ন গ্রহের প্রাণী) সঙ্গে তাদের যৌন সম্পর্ক হয়েছে এবং তাদের সন্তান মহাকাশযানে তাদের পিতার সঙ্গে রয়েছে। ‘হাইব্রিড বেবি কমিউনিটি’ নামে নারীদের একটি গ্রুপ রয়েছে, যারা এ ধরনের ‘হাইব্রিড সন্তানের’ দাবি করেন।
এসব নারীদের ধারণা, এলিয়েনরা তাদের ডিএনএ নিয়ে প্রক্রিয়াকরন করে। এরপর মানব এবং এলিয়েন চরিত্রের ভালো বৈশিষ্ট্যগুলো নিয়ে উৎপাদন করে
‘হাইব্রিড শিশু’। এ ধরনের সন্তান জন্মদানের জন্য মানুষের সঙ্গে এলিয়েনের সরাসরি সঙ্গম অথবা কৃত্রিমভাবে নারীর শরীরে শুক্রানু প্রবেশ করানো যেতে পারে।
সাবেক মার্কেটিং নির্বাহী ব্রাইডজেট নিলসন দাবি করেন, তার দশটি হাইব্রিড শিশু রয়েছে এবং তিনি নিয়মিত তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
তাঁর মতে, ‘এলিয়েনের সঙ্গে সঙ্গমের অভিজ্ঞতা অভূর্তপূর্ব।’
২৩ বছর বয়সী ভিডিও গেমস ডিজাইনার আউনা ভার্সের অভিজ্ঞতাও প্রায় একই রকম। তাঁর তিনটি হাইব্রিড সন্তান রয়েছে। তিনি বলেন, ‘ক্লাসরুমে হঠাৎই এলিয়েনের সঙ্গে আমার যৌন সম্পর্ক হয়। হঠাৎ দেখলাম সবুজ রঙের সরীসৃপ প্রাণীর মতো কিসের ওপর যেন আমি বসে আছি। সেই সময়ে আমি তীব্র যৌনাকাঙক্ষা অনুভব করি। খুব অবাক হই যে, ক্লাসে সবার সামনেই আমরা সঙ্গম করি। সবার আগ্রহ তখন ছিল আমাদের দিকে।’
এটিকে তিনি নিজের জীবনের অন্যতম ‘জ¦লজ¦লে’ ঘটনা হিসেবে উল্লেখ করেছেন।
হাইব্রিড সন্তানের মায়েরা তাদের শিশুদের ছবি একেঁ দেখিয়েছেন। মানব শিশুর মতই দেখতে হাইব্রিড সন্তানদের রয়েছে বড় কালো চোখ।
ব্রাইডজেট বলেন, ‘খুব কষ্ট লাগে যে, আমাদের সন্তানরা এই পৃথিবীতে আসতে পারে না এবং আমি আপনাদের সেখানে নিয়ে যেতে পারব না। বিশ^াস করি সারা বিশে^ কয়েক হাজার নারী রয়েছে, যাদের হাইব্রিড সন্তান আছে। তবে তারা কখনও বিষয়টি বুঝতেও পারেনি।’
কারন জীবন সঙ্গী হিসেবে ভিন গ্রহের প্রাণীকে পছন্দ করতে হলে, এই বিশে^ অনেক চড়াই-উতরাই পার হতে হয়। যা সকলের জন্য সম্ভব নয়।
ব্রাইডজেটের কথা বিশ^াস করেননি তার মা। ব্রাইডজেটের দাবি, ‘সত্যি অন্যদের মত কোন স্বাভাবিক সম্পর্ক নেই আমার। এলিয়েনের সঙ্গে সম্পর্কই এখন আমার কাছে স্বাভাবিক।’
ব্রাইডজেট এবং আউনা মনে করেন, সব হাইব্রিড শিশুর মায়েদের উচিত একসঙ্গে থাকা। তাহলে হাইব্রিড শিশুরা নিরাপদে তাদের মায়েদের কাছে আসতে পারবে
আউনা দাবি করেন, ‘সকলে আমাদের পাগল মনে করে। আসলে আমরা পাগল নই। এমনটি সত্যি ঘটেছে।