১৯৭২ সালের ৪ঠা মার্চ, সর্বপ্রথম বাংলাদেশে মুদ্রা টাকা চালু হয়। কিন্তু অবাক করার মত বিষয় হল, সেই প্রথম বছরই জাল টাকা বা নকল টাকার সন্ধান পায় বাংলাদেশ ব্যাংক। সেটা ছিল শুরু মাত্র এই ২০১২ সালে এসে টাকার বাজারের দিকে তাকালে জাল টাকা র পরিমান হবে হাজার হাজার কোটি টাকা।
১৯৯০ সালের দিকে জালটাকা ছড়িয়ে পড়তে থাকে রাজধানী ঢাকাসহ অন্যান্য শহরগুলোতে তখন থেকে পরবর্তী বিশ বছরে এর বিস্তৃতি কেবলই বেড়েছে। ২০১১ সাল নাগাদ এমন অবস্থা দ্বারায় যে বাজারে প্রচলিত নোটের কোনটা আসল আর কোনটা নকল বোঝা দায় হয়ে যায়। শুধু বাজার নয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আটটি শাখার ভল্ট থেকেও বেড়িয়ে এসেছিল একশ আর পাচশ টাকার জাল নোট। এমনকি এটিএম বুথ থেকে বেড়িয়ে আসা টাকার মধ্যেও পাওয়া যায় জাল টাকা ।
এবার আসা যাক এসব জালটাকা র ব্যাবসায়ীরা কি পরিমান লাভ করেন এই ব্যাবসা থেকে তা জানা যাক ।
জালটাকা প্রস্তুতকারীর কাছ থেকে সাধারন জনগনের হাতে আসা পর্যন্ত পাচ বার হাত বদল হয়। উৎপাদকের কাছ থেকে পাইকারী বিক্রেতা একলাখ টাকার জাল নোট কিনে নেন মাত্র ৮০০০ টাকায়। পাইকারী বিক্রেতা সেই টাকা খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করেন ১২-১৩ হাজার টাকায়। খুচরা বিক্রেতা আবার আরেক খুচরা বিক্রেতার কাছে বিক্রি করেন ২০-২৫ হাজার টাকায়। এই খুচরা বিক্রেতা আবার আরেকজন মাঠ পর্যায়ের খুচরা বিক্রেতার কাছে একলাখ টাকা বিক্রি করেন ৪০-৫০ হাজার টাকায়। আর মাঠ পর্যায়ের খুচরা বিক্রেতা এই একলাখ টাকা একলাখ হিসেবেই সাধারন জনগনের মধ্যে ছড়িয়ে দেয়।
সাধারন মানুষের কাছে যার কোন মূল্য নেই। এক লাখ টাকার জালনোট তৈরি করতে একজন উৎপাদাককারীর খরচ পরে মাত্র ১০০০ টাকা আর তিনি বিক্রি করেন ৮০০০ টাকায়। অর্থাৎ লাভ ৭০০০ টাকা। অনেক সময় উৎপাদনকারী সরাসরি বাজারে জাল টাকা ছেড়ে দেয়, সে ক্ষেত্রে তার লাভ হয় পুরোটাই অর্থাৎ নিরানব্বই হাজার টাকা! অর্থাৎ লাভের পরিমান প্রায় ৯৯০০%। এমন ব্যাবসা থাকলে ধনী হতে কয়দিন লাগে বলেন? প্রতিবেদনটি তালাশ ক্রাইম পোগ্রাম থেকে নেয়া। জালটাকা তৈরির পদ্ধতি আর তা বাজারে ছড়িয়ে দেওয়ার পদ্ধতির বিস্তারিত ভিডিওসহ দেখুনঃ