এই নাচে প্রত্যক্ষ নগ্নতা নেই। গানের বাণীতেও নেই কোন সুরসুরি। কিন্তু নর্তকীদের অঙ্গ সঞ্চালন আর লাস্য এই নাচের আত্মাভ্রমর। তাকে কৌটোমুক্ত করাটাই দর্শকের হোমওয়ার্ক।
বড়দের’ সাইটে এই মুহূর্তে সবথেকে জনপ্রিয় কোন বস্তু? প্রশ্ন সহজ, কিন্তু উত্তর বাগাতে গেলে কালঘাম ছুটে যাবে। তেমন কোনও অ্যানালিটিক-যন্ত্র নেই, যে সংখ্যাতত্ত্ব লড়িয়ে আপনাকে সাহায্য করবে। তেমন কোনও জরিপও হয় না, যার ভিত্তিতে আপনি আপনার বাসনা-কৌতূহলকে বাড়িয়ে দেবেন।এই জরিপ আপনাকেই করতে হবে। দক্ষিণ এশিয়ার অ্যাডাল্ট সাইটগুলোয় গত কয়েক বছরে ভাইরাল হয়ে দাঁড়িয়েছে এমন কিছু বিষয়, যার পূর্বাপর খুঁজতে গেলে ব্যোমকে যাওয়ার সম্ভাবনা যথেষ্ট।সবথেকে বেশি ডাউনলোড হওয়া অ্যাডাল্ট ভিডিও-র তালিকায় যে ক’টি ক্যাটেগরি বেশি দাপিয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ‘পাকিস্তানি মুজরা’। খতিয়ে দেখলে ব্যাপারটা তেমন আহামরি কিছু নয়। একেবারেই একটা ঘরোয়া সেট-আপে কিছু অতি অথবা নাতি-প্রশস্ত কিছু মহিলা ততোধিক কিম্ভুত পোশাকে এক প্রকার নাচ পরিবেশন করেন, তারই শুভনাম ‘পাকিস্তানি মুজরা’।
যে গানের সঙ্গে এই নাচ পরিবেশিত হয়, তার সুর ১৯৮০ দশকের বলিউডের অনুষঙ্গবাহী। সুতরাং এতে মুগ্ধ হয়ে মজে যাওয়ার কী রয়েছে, তা বোঝা দুরূহ। কিন্তু মজার ব্যাপার এই, ‘বড়দের’ এন্টারটেনমেন্ট-জগতে ‘পাকিস্তানি মুজরা’ একটি অতি জনপ্রিয় ‘আইটেম’।
এখানে প্রশ্ন উঠতেই পারে, এই ভিডিওগুলোর উৎস কি সত্যিই পাকিস্তান? উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা যায়, ‘মুজরা’ নামে পরিচিত একটি নাচ সত্যিই সে দেশে বহাল। কিন্তু সেই নাচ বস্তুতপক্ষে দরবারি নাচের এক অতিলঘু সংস্করণ। সাধারণত বিয়েবাড়ি বা অনুরূপ অনুষ্ঠান বাড়িতে সেই ‘মুজরা’ হয়ে থাকে। তার সঙ্গে এই ভিডিওর দূরত্ব যোজন যোজন। সত্যিকারের ‘মুজরা’ আর ভিডিও-র ভোলাপচুয়াস মুজরা এক নয়। র প্রোভোকেশন-চাতুর্য বিয়েবাড়ির চৌহদ্দিতে প্রদর্শনযোগ্য নয়। কারণ সেখানে অভ্যাগতদের পারিবারিক উপস্থিতি। তাহলে কি ধরে নেব, ‘পাকিস্তানি মুজরা’ একান্তভাবেই পুং-পৃথিবীর এক নিজস্ব খেলনা? নাকি এই নাচ বাস্তব কেবল এক ভারচ্যুয়াল জগতেই। যার নাম সাইবার স্পেস?