ডেস্ক ; জনৈক পাঠক জানতে চেয়েছেন, আনন্দদায়ক হলেও যৌন মিলনের সময়ে নারীদের উপরে থাকাটা কি উচিত?
সহবাসের স্বাভাবিক পন্থা হলো এই যে, স্বামী উপরে থাকবে আর স্ত্রী নিচে থাকবে। প্রত্যেক প্রাণীর ক্ষেত্রেও এই স্বাভাবিক পন্থা পরিলক্ষতি হয়। সর্বপরি এ দিকেই অত্যন্ত সুক্ষভাবে ইঙ্গিত করা হয়েছে আল কুরআনে। আয়াতের অর্থ হলোঃ
“যখন স্বামী -স্ত্রীকে ঢেকে ফেললো তখন স্ত্রীর ক্ষীণ গর্ভ সঞ্চার হয়ে গেলো।”
আর স্ত্রী যখন নিচে থাকবে এবং স্বামী তার উপর উপুড় হয়ে থাকবে তখনই স্বামীর শরীর দ্বারা স্ত্রীর শরীর ঢাকা পড়বে। তাছাড়া এ পন্থাই সর্বাধিক আরামদায়ক। এতে স্ত্রীরও কষ্ট সহ্য করতে হয়না এবং গর্ভধারণের জন্যেও তা উপকারী ও সহায়ক। বিখ্যাত চিকিতসা বিজ্ঞানী বু-আলী ইবনে সীনা তার অমর গ্রন্থ “কানুন” নামক বইয়ে এই পন্থাকেই সর্বোত্তম পন্থা হিসেবে উলেখ করেছেন এবং ‘স্বামী নিচে আর স্ত্রী উপরে’ থাকার পন্থাকে নিকৃষ্ট পন্থা বলেছেন। কেননা এতে পুংলিংগে বীর্য আটকে থেকে দুর্গন্ধ যুক্ত হয়ে কষ্টের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই অবশ্যই আমাদের লক্ষ্য রাখতে হবে যেন আনন্দঘন মুহুর্তটা পরবর্তিতে বেদনার কারণ হয়ে না দাড়ায়।
পক্ষান্তরে, যৌন মিলনের সময় নারীর ওপরে থাকা অনেকের কাছেই আনন্দদায়ক হলেও নতুন গবেষণা তথ্যানুযায়ী এটি মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে। গবেষণার তথ্যানুযায়ী, মিলনের সময় নারী ওপরে থাকলে গোপানাঙ্গের ক্ষতি হতে পারে। সম্প্রতি ব্রাজিলের গবেষকদের প্রকাশিত অ্যাডভান্সেস ইন ইউরোলজি-তে প্রকাশিত গবেষণা ফলাফলে জানা গেছে এ তথ্য।
গবেষকদের মতে যৌনতায় সবচেয়ে বিপজ্জনক অবস্থান হলো ‘কাউগার্ল’ নামে পরিচিত একটি পজিশন। অনেকে একে ‘হর্সরাইডিং’-ও বলে থাকেন। এ পজিশনে নারী ওপরে থাকে। গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘কাউগার্ল’ পজিশনে যৌনতার সময় আঘাত পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। এ অবস্থানে পুরুষাঙ্গের ক্ষতির সম্ভাবনাও সবচেয়ে বেশি থাকে।
কাউগার্ল পজিশনে মূল সমস্যাটি হয় নিয়ন্ত্রণের ওপর। এ ক্ষেত্রে নারীর দেহের ওজন পুরুষাঙ্গের ওপর পড়ে, যার ফলে অনেক সময় সঠিকভাবে চাপ প্রয়োগ হয় না। ফলে এদিক-ওদিক হয়ে দুর্ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। অন্যদিকে সাধারণভাবে প্রচলিত যৌনতার আসনগুলো কিছুটা নিরাপদ। বিশেষ করে যে আসনে পুরুষের ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ থাকে, তাই একে নিরাপদ বলে জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
যৌনতার সময় যেসব আঘাত পাওয়ার ঘটনা ঘটে, সেগুলো এ গবেষণায় তালিকাবদ্ধ করা হয়। গত ১৩ বছরের পরিসংখ্যান এতে বিবেচনা করা হয়। গবেষণায় দেখা যায়, সবচেয়ে বেশি আঘাতের ঘটনা ঘটে কাউগার্ল পজিশনে। এ অবস্থানে প্রায় অর্ধেক আঘাত পাওয়ার ঘটনা ঘটে। এরপরের অবস্থান রয়েছে বহুল প্রচলিত ‘ম্যান অন টপ’ অবস্থান। এ অবস্থায় যৌনতায় ২১ ভাগ আঘাত পাওয়ার ঘটনা ঘটে।